মন্দিরে দায়িত্বে থাকা সদস্যদের মারফত জানা গিয়েছে, বোধনের দিন ঘট মণ্ডপে আনার পর থেকেই আটলা গ্রামের সরকার বাড়ির পুজো শুরু হয়। সেই দিন থেকেই প্রতিদিন চলে পুজো এবং চণ্ডীপাঠ। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন আটলা গ্রামের জমিদার ঘনশ্যাম সরকার। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে তিনি খুব ধার্মিক ছিলেন। এলাকার মানুষকে পুজোর কটা দিন আনন্দে রাখতে তিনি মন্দির বানিয়ে একচালার সাবেকি মৃন্ময়ী প্রতিমা গড়ে পুজোর সূচনা করেন।
advertisement
যদি এর পরবর্তীতে জানা গিয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মন্দিরটি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু পুজো বন্ধ হয়নি। মাটির মন্দির নির্মাণ করে পুজো চলত। কথিত আছে, সরকার পরিবারের বংশধর দুর্গাদাস সরকারের হাত ধরে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তারাপীঠ মন্দিরে ফুল তোলার কাজে যোগ দেন বামাক্ষ্যাপা। পরবর্তী সময়ে পুজোর দিনগুলিতে নিজের গুরুদেব কৈলাশপতিকে সঙ্গে নিয়ে সরকার বাড়ির পুজোয় অংশ নিতেন সাধক বামাক্ষ্যাপা।
জানা গিয়েছে ১৩৬০-৬২ বঙ্গাব্দে সরকার বাড়িতে অর্থাভাব দেখা দেওয়ায় পুজো প্রায় বন্ধ হয়ে আসছিল। সেসময় তাঁরা গ্রামের অহিভূষণ চট্টোপাধ্যায়কে পুজোর দায়িত্ব দিয়ে সপরিবারে ভাগলপুর চলে যান। কিন্তু অহিভূষণের আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় এগিয়ে আসেন গ্রামের কুমারিশচন্দ্র সরকার। তখন থেকেই পুজো চালিয়ে আসছেন চট্টোপাধ্যায় ও সরকার বাড়ির সদস্যরা। তাই এবার বীরভূম গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই দুর্গা মন্ডপ থেকে।