স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুশো বছর আগে হাওড়া উদয়নারায়ণপুর ব্লকের হরিশপুর গ্রামে কলেরা মহামারিতে মড়ক দেখা দিয়েছিল। কোনও কিছুতেই মড়ক আটকানো যাচ্ছিল না গ্রামে। সেই সময় মা কালীর আরাধনা করে মড়ক থেকে রক্ষা পেয়েছিল গ্রাম। সেই থেকে মা কালীর পুজোর সূচনা হয় গ্রামে। পুরনো রীতি নীতি মেনে প্রায় ২০০ বছর ধরে মা কালীর পুজোর আয়োজন হচ্ছে জাঁকজমক করে। প্রায় ছয় থেকে সাত দশক আগে গ্রামের মানুষ জানতে পারেন, মন্দির সংলগ্ন বকুল গাছে আশ্রয় নেন মা কালী। সেই থেকে মন্দিরে মা কালীর মূর্তির পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন বকুল গাছকে পুজো শুরু হয়। আরও জানা যায়, মা রূপী বকুল গাছের সেভাবে কোনও পরিবর্তন দেখা যায় না।
advertisement
আরও পড়ুন : আজ এই রঙের কাপড় ও অন্য জিনিস দান করুন! বাঁচুন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কুপ্রভাব থেকে
এ প্রসঙ্গে গ্রামবাসী সমীর প্রামাণিক এবং অসিতকুমার বেরা জানান, ‘‘প্রায় ২০০ বছর আগে গ্রাম মড়ক থেকে রক্ষা পেয়েছিল মায়ের কৃপায়। মাতৃরূপে পুজো হয় মন্দির সংলগ্ন বকুল গাছ। বকুল গাছকে মাতৃরূপে পরানো হয়ে শাড়ি, দেওয়া হয় ভোগ।গাছকে দেবী রূপে পুজো অর্চনা করে ভক্তরা উপবাস পালন করেন।