উল্লেখ্য গত সোমবারে সীমান্ত এলাকা সোনাই নদীতে একটি মৃত কুমিরের বাচ্চা মৎস্যজীবীদের জালে উঠে আসে, এরপর ফের এদিন সকালে এক ঘণ্টার মধ্যে পরপর একটি মৃত একটি জীবিত কুমিরের বাচ্চা মৎস্যজীবীদের জালে উঠে আসে এই কুমিরের ছানা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে আঁকাবাঁকা রাস্তা, ভিড়ে ঠাসা আন্দুলপোতা…! এখন আর কেউ যেতেই চাইছেন না, কেন জানেন?
advertisement
যেখানে নদীতে নেই জোয়ার-ভাটা, নেই কুমিরের কোন ইতিহাস, সেখানে হঠাৎ করে কুমিরের ছানা ধরা পড়া ঘিরে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সোনাই নদীতে বিগত কয়েকশো বছর ধরে কখনও কুমির দেখা যায়নি। এই নদী সংলগ্ন বহু প্রজন্মের মানুষ কখনও এই নদীতে কুমিরের অস্তিত্বের কথা শোনেননি। যদিও উদ্ধার হওয়া এই প্রাণীর বাচ্চা দুটি কুমিরের মত দেখতে হলেও সেগুলি নাকি ঘড়িয়াল, এমনটাও জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু পরপর দুই দিন ধরে মৎস্যজীবীদের জালে উঠে আসছে কুমিরের বাচ্চা। কোথা থেকে এই কুমিরের বাচ্চা এল, কীভাবে সোনাই নদীতে এরা এসে পড়ল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। একইসঙ্গে নদীতে নামা মাছ ধরার মৎস্যজীবী এবং নৌকা পারাপার করা মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে উৎকণ্ঠা। স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে সাবধানে চলাফেরার পাশাপাশি বন দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে খবর। এখন দেখার, এই কুমিরের বাচ্চার আগমনের পিছনে প্রকৃত কারণ কী, তা বন দফতর বা প্রশাসনের তরফ থেকে কবে জানা যায়।
জুলফিকার মোল্যা