এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ''এখানে আমি প্রথমবার দিদির সঙ্গে মঞ্চে উঠেছি। আসানসোল আমার জন্য আলাদা জায়গায় ছিল, আছে, থাকবে। আসানসোলের প্রতিটি মানুষ আমার আত্মীয়।'' আসালসোল থেকে দূরে সরেও আসানসোল রাজনীতিতে ‘ফিনিক্স’ বাবুল! তাঁকে বাদ দিয়ে আসানসোলের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা যেন ফিকে। বঙ্গ রাজনীতিতে যখন পদ্ম সেভাবে ‘ফোটেনি’ সেই সময় ভোটযুদ্ধে বাবুলের প্রাপ্তি ছিল আসানসোল।
advertisement
পাঁচ বছরের এই সাংসদকে ২০১৯ সালেও এই কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বাবুলকে হতাশ করেননি আসানসোলবাসী। গায়কের কাঁধেই নিজেদের সংসদে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা। পরে অবশ্য বঙ্গ রাজনীতিতে বিস্তর বদল আসে। BJP-র সঙ্গে ‘নৈতিক তফাত’ তৈরি হওয়াতে দল বদল করেন বাবুল। তিনি বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচনে লড়াই করেন এবং জেতেন। যদিও আসানসোল নিয়ে এখনও মাঝেমধ্যেই নিজের অনুভূতির কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাবুল সুপ্রিয় কেন তৃণমূলে? সেই আসানসোলে দাঁড়িয়েই রহস্য ভাঙলেন মমতা
এদিকে, বাবুলের জায়গায় এখন আসানসোলের যিনি সাংসদ, সেই শত্রুঘ্ন সিনহা এদিন বলেন, ''আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যালুট জানাতে এসেছি। উনি আমাকে পাঠিয়েছেন আসানসোলে। যে ইতিহাস রচনা হয়েছে, তারপর আমি তা কখনও ভুলতে পারব না। আমি আজ শুধু ধন্যবাদ জানাতে এসেছি। দেশের এই সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে।''
আরও পড়ুন: বাড়ির উঠোনে ৬ গবাদি পশুর জ্বলন্ত দেহ, পুড়ছে বাড়ি! হাড়হিম ঘটনা চোপড়ায়
এদিকে, আসানসোলবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, ''যে মানুষটি জেতার পরেও আসানসোলে বারবার ছুটে এসেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও তার স্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাবুল সুপ্রিয় একসময় আসানসোলের সংসদ ছিলেন। বিজেপিকে তার পছন্দ হয়নি। তিনি এখন আমাদের বিধায়ক। আপনারা আসানসোলে আমাদের শুধু জেতাননি। বিজেপিকে খামোশ করে দিয়েছেন। এত ভোটে জিতিয়েছেন আমাদের, এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। আমার আসানসোলে আসার প্রধান কারণ মানুষকে বুক ভরা ভালোবাসা জানানো।''