আরও পড়ুন-আজও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে, আগামী ক’দিন আবহাওয়ার কি পূর্বাভাস? জেনে নিন
৬২টা সিঁড়ি ভেঙে তবে স্টেশনে উঠতে হয়। অফিসযাত্রীদের হৃদপিণ্ডটা যেন হাতে চলে আসে। ভোগান্তি এড়াতে বালিঘাটের রুটই বদলে ফেলেছিলেন মধ্যবয়স্করা। এই অবস্থায় উত্তরপাড়া-বালির মানুষকে আক্ষরিক 'রিলিফ' দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল নিজে উত্তরপাড়ার ছেলে, তাই গত বছর অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণেই তিনি বাঁক নিয়েছিলেন নস্টালজিয়ার সরণিতে। বাবুল বলেছিলেন, ‘‘ আজ নস্টালজিক দিন। আমি উত্তরপাড়ার ছেলে। এই স্টেশন দিয়ে আমি মা-ঠাকুমা যাতায়াত করতাম। আমি আজও পাড়ার ছেলে।’’ স্মৃতি হাতড়াচ্ছিলেন বাবুল। তিনি ছোটবেলার স্মৃতি মনে করে বলেছিলেন, ‘‘এখানে আমি বড় হয়েছি। সিনেমা দেখেছি। কচুরি খেয়েছি। এখানে জামা কাপড় বানাতাম। বাবা, মা, ঠাকুমা নিয়ে এখানে আমার যাতায়াত। এই স্টেশন, ট্রেন ধরতে আসা আমার কাছে অনেক স্মৃতি।’’
advertisement
অবশেষে ইচ্ছাপূরণ হল বাবুল সুপ্রিয়ের। পূর্ব রেলের এই স্টেশনে বসে গেল লিফট। ডানকুনি থেকে দমদম, বিধাননগর, শিয়ালদহ বা শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনে পৌছতে ভরসা এই স্টেশন। কিন্তু বালি ব্রিজের সংযোগকারী এই স্টেশন মাটি থেকে অনেকটাই উচুঁতে। ফলে মধ্যবয়স্ক বা বয়স্ক, বিশেষ করে মহিলাদের অফিস টাইমে একাধিক সিঁড়ি ভেঙে উঠতে বেশ সমস্যা হত রেল যাত্রীদের। আপাতত সেই সমস্যার নিরসন হল।
ডানকুনিগামী ও শিয়ালদহগামী দুটি প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর জন্য লিফট বসে গেল। বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, ‘‘এটা হয়তো অনেক ছোট প্রজেক্ট৷ কিন্তু এটা আমার হৃদয়ের কাছের। ৬০টির বেশি সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হত প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরতে। তৎকালীন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এক কোটি টাকা অনুমোদন করেছিলেন।’’ বাবুল চাইছেন কোনও দলমতের সমর্থক হয়ে নয়, সাধারণ মানুষ এই সুবিধে পান। লিফটে এসি থাকছে। স্টেনলেস স্টিল দিয়ে বানানো হবে। ফলে পরিষ্কার থাকবে লিফটটি। লিফটের কাজ শুরুর সময়ে গতবারই আবেগপ্রবণ হয়ে বাবুল বলছিলেন, ‘‘মা থাকলে আজ খুশি হতেন।’’ আর লিফটের ব্যবহার শুরুর পরে বাবুল লিখেছেন, ‘‘Politics is a thankless Job. Most, not all, forget to see the full Portion of the glass.’’
আবীর ঘোষাল