কথিত আছে, মন দিয়ে বাবা লোকনাথের নাম স্মরণ করলে, সত্যিই যে কোনও বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অথচ তিনি কোনও দেবতা নন। জ্ঞানী, শাস্ত্রজ্ঞ, এক দীব্যপুরুষ যিনি নিজেকে কখনই ঈশ্বরের আসনে প্রতিষ্ঠা করতে চাননি। তাঁর না আছে তথাকথিত শিষ্যকুল, না আছে কোনও ধর্মীয় সংগঠন। স্রেফ ভক্তের বিশ্বাসে তিনি হয়ে উঠেছেন ভগবান।
advertisement
আরও পড়ুনOld Temple History: হাজার বছরের পুরানো মন্দির, এলে ভক্তি বাড়বে, স্বাদ মিলবে ইতিহাসের, বাংলার কোথায়
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার কচুয়ায় অবস্থিত লোকনাথ মন্দির। সেই মন্দিরে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত পুজো দিতে উপস্থিত হন। ছুটির দিন ও বিশেষ তিথিতে ভিড় আরও বাড়ে। তবে কচুয়া লোকনাথ বাবার মন্দিরে কিভাবে যাবেন এবং পুজোর দেওয়ার নিয়ম জানেন কী! ঘরোয়া সাধারণ উপকরণেই সম্পন্ন করা হয় বাবা লোকনাথের পুজো এবং উপাসনা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কচুয়া গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল তাঁর। অনেকে মনে করেন বাবা লোকনাথ হলেন স্বয়ং দেবাধিদেব মহাদেবের অবতার। পুজোর মূল ফুল হতে হবে সাদা রঙের। যে কোনও সাদা ফুল তাঁর পুজোয় দেওয়া যায়। বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পুজোয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীল শাপলা বা নীল শালুক ফুল। তাঁর চরণে নিবেদন করুন এই ফুল। পুজোর জন্য প্রতিদিন মন্দির সকাল আটটায় খোলা হয় এবং দুপুর বারোটায় বন্ধ করা হয়। তারপর বিকেল তিনটায় খোলা হয় এবং রাত আটটায় বন্ধ করা হয়। প্রতিদিনই ভোগের ব্যবস্থা থাকে, পুজোর ব্যবস্থা আছে।
জুলফিকার মোল্যা