শনিবার কেতু গ্রামের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতে স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি সভা ছিল। সেখানে আশা কর্মী ওয়াদিয়া খাতুনকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি ওই পঞ্চায়েতের মোরগ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজে যুক্ত ছিলেন। কেন নাম বাদ গিয়েছে এই প্রশ্ন তুলে পঞ্চায়েত ভবনের ভেতর তাকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীও সেই কাজে যোগ দেন বলে জানা গিয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই আশা কর্মীকে স্থানীয় কান্দরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এরপর তাকে বাড়ি পাঠানো হয়। তবে তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝাল খেতে ভালোবাসেন? পছন্দই বলে দেবে কেমন মানুষ! গবেষণায় উঠে এল চমকে দেওয়া তথ্য
এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন আশা কর্মীরা।পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভানেত্রী ঝর্ণা পালের দাবি, নানা জায়গাতেই শাসক দলের মদতে এরকম হেনস্তার ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে তারা জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
বিজেপির কালনা কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারি কাজে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আশা কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বারে বারে। এই ধরনের ঘটনা বিভিন্ন প্রান্তে ঘটছে। কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ বলেন,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাটোয়ার মহকুমা শাসক অর্চনা পনধরিনাথ ওয়াংখেড়ে বলেন,ঠিক কি ঘটেছে সে ব্যাপারে ব্লক প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: 'বিখ্যাত' এই ট্রেন বাংলায় ছুটবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে! কবে থেকে? জানুন বড় খবর!
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তালিকা যথাযথ কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছিল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ করেন তাঁরা। অনেকেরই পাকা বাড়ি থাকায় তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ যায়। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের কর্মী নেতাদের হাতে তাঁদের হেনস্থা হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।