রবিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ফোনে বাড়িতে কথা হয়। কাজ সেরে ফেরার পথে মাংস নিয়ে বাড়ি ফিরছে সে। কিন্তু প্রায় এক ঘন্টা পর আবার পুষ্পেন্দুর ফোন থেকে একটি কল আসে বাড়িতে। ফোনের ওপর প্রান্ত থেকে জানানো হয় পুষ্পেন্দু গুরুতর আহত হাসপাতালে ভর্তি। মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্থা হয় পরিবারে। কিছুক্ষণ আগেই, যে ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে হঠাৎ কি এমন হল, যার ফলে হাসপাতালে যেতে হল। তবে এমন খবর শুনে দেরি না করেই, তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছয় পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: ড্রেনের জল রাস্তায় মিশে আর দুর্ভোগ নয়! ১০ বছরের সমস্যা ১৫ দিনে মেটাতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের
হাসপাতালে গিয়ে এমন ঘটনা সম্মুখীন হবে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে গিয়ে দেখেন পুষ্পেন্দুর মৃতদেহ। পুলিশের তরফে পরিবারকে জানান হয়, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পুষ্পেন্দুর। পুষ্পেন্দুর দেহ উদ্ধার হয় রাস্তার পার্শ্ববর্তী নয়নজুলি থেকে তাঁর অটো ছিল রাস্তার উপর। পরিবার জানায়, অটোর মধ্যে কোনরকম ক্ষত বা দুর্ঘটনার চিহ্নের দেখা মেলেনি। পুষ্পেন্দুর বাড়ি হাওড়ার পাঁচলা থানার অন্তর্গত রানিহাটি রায় পাড়ায়। বাড়ি কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে। দুর্ঘটনা ঘটে রাজাপুর থানার অন্তর্গত বাউড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন স্থানে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুষ্পেন্দু পেশায় অটোচালক। রানিহাটি থেকে আলামপুর রুটে দীর্ঘ প্রায় ৭-৮ বছর অটো চালাচ্ছে। গত কয়েক মাস আগে একটি পুরানো ব্যাটারি কেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন চালকের সঙ্গে বচসা হয় পুষ্পেন্দুর। সেই ঘটনার জেরে টোন টিটকিরি চলছিল বেশ কিছুদিন। যার মীমাংসাও হয় পরিবারের উপস্থিতিতে। দুর্ঘটনা নাকি সেই ঘটনার প্রতিশোধ নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে ঘটনা থেকে কেন্দ্র করে।
পরিবার জানায় নিজের রুট ছেড়ে অন্যত্র কি কারণে গেছে। সত্যি দুর্ঘটনা হয়েছে নাকি অন্য কোন বিষয় লুকিয়ে রয়েছে এই ঘটনায়। তদন্তের দাবী জানাচ্ছে পরিবার।
রাকেশ মাইতি