ইউনিয়নের দাবি, অবিলম্বে টোটোর দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বাস ও অটো পরিষেবা।দুর্গাপুর সাবডিভিশন মিনিবাস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর শহর থেকে গ্রামগঞ্জে মিনিবাস পরিষেবা বহু বছর ধরে চলে আসছে। ২২০ টি মিনিবাস বর্তমানে যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছে। অটো ও টোটোর দৌরাত্ম্যে বেশ কিছু মিনিবাস রুটে চলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
advertisement
এই মিনি বাস শিল্পের সঙ্গে বাস মালিক সহ প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী যুক্ত আছে। টোটোর দৌরাত্ম্যে বাসের আয় কমে গিয়েছে। রুটিরুজিতে টান পড়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে টোটো রিকশা নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।দুর্গাপুর সিএনজি অটোরিকশা অপারেটার ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রান্তিক অটো স্ট্যান্ডে ৬০ টি অটো আছে। কিন্তু হাজার হাজার টোটো রিকশার চাপে পড়ে অটোর যাত্রী মিলছে না।
অভিযোগ, অটো চালানোর জন্য সবরকম ট্যাক্স সরকারকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অবৈধ টোটো রিকশা কোনও রকম ট্যাক্স না দিয়েও দেদার চলছে। বাস ও অটোর যাত্রী মিলছে না। স্বাভাবিকভাবেই বাস ও অটোর মালিক সহ চালকরা ক্ষুব্ধ। আর হঠাৎই বাস ও অটো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এর আগেও বাস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অটো ও টোটো রিকশার দৌরাত্ম্য নিয়ে সরব হয়েছে।
যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। তবে এবার বাস ও অটো ইউনিয়ন একত্রিত হয়ে পরিষেবা বন্ধ করায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।এখন প্রশ্ন, বাস, অটো ও টোটোর দ্বন্দ্বে এবার কী ভাবে ঘুচবে যাত্রী দুর্ভোগ। প্রশাসন এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ।