দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরের ব্যক্তি তাপস পুরকাইতের সঙ্গে এই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে তিনি বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তাপস পুরকাইত জানিয়েছেন, ট্রেনে তাঁর সঙ্গে এক ব্যক্তির আলাপ হয়। তিনি নিজেকে মেডিক্যাল কাউন্সিলার বলে পরিচয় দেন। ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের সব ধরনের সাহায্য করে থাকেন বলে কৌশলে জানান তিনি। তাঁর সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তিনি নিজেকে ওই কাউন্সিলারের সহযোগী বলে জানান। তাঁরা নিজেদের মোবাইল নম্বর দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: খাবার পেল না যাত্রীরা! বন্দে ভারতের দ্বিতীয় দিনেই বিপত্তি, দেখুন ভিডিও
তাঁদের কথাবার্তায় বিশ্বাস জন্মানোর পর তিনি তাঁর ভাইপোকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার জন্য বলেন। বাড়ি ফিরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলে তাঁরা। বাড়ি ফেরার পর তিনি ও তাঁর ভাইপো ফোনে কথা বলেন। ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য ২০ লক্ষ টাকা লাগবে বলে জানান। তিনি ও তাঁর ভাইপো সেই প্রস্তাবে রাজি হন।
আরও পড়ুন: খাদ্য়প্রেমীদের জন্য নয়া ডেস্টিনেশন! নতুন বছরে পিঠেপুলি উৎসবে মাতবে বাঙালি
গত ১৫ ডিসেম্বর ভাইপোকে নিয়ে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আসেন। ওই দু'জনের এক প্রতিনিধি তাঁর ভাইপোকে নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে যান। কিছুক্ষণ পর মেডিক্যালে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন বলে জানান তিনি। ভর্তির জন্য তিনি ৮ লক্ষ টাকা দেন। প্রমাণ স্বরূপ কিছু নথিপত্রও দেওয়া হয় তাঁর ভাইপোকে। সেইসব নথি নিয়ে ২১ অথবা ২২ ডিসেম্বর তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেই মতো ২১ ডিসেম্বর তাঁর ভাইপো মেডিক্যাল কলেজে আসেন। সেখানে এসে তিনি জানতে পারেন কোথাও তাঁর নাম নেই। পুরো বিষয়টি ভুয়ো।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্র নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। ওই প্রতারকদের সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কর্মীদের কারও কোন যোগসাজস রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রকে কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কাদের সঙ্গে কথা বলানো হয়েছিল সেসবও দেখা হচ্ছে।