জানা গিয়েছে, মহালয়ার রাত্রিতে মায়ের অঙ্গরাগ করানো হয় প্রত্যেক বছর। মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদের দিন ঘট ভরে শুরু হয়ে যায় মা রাজরাজেশ্বরীর পুজোর শুভারম্ভ। প্রত্যেকদিনই মায়ের অন্নভোগের সঙ্গে মাছের ভোগও দেওয়া হয়। অষ্টমীর দিন মায়ের ভোগে থাকে ফল মিষ্টির পাশাপাশি লুচি এবং নিরামিষ তরকারি পাঁচ রকম ভাজা দিয়ে ভোগ দান।
advertisement
এই পরিবারের সদস্য সেবায়েত শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘কালের নিয়মে এখন পুজোর জৌলুস হারালেও নিয়ম নিষ্ঠার মধ্যে কোনও ত্রুটি ঘাটতি পড়তে দিইনি আমরা। পূর্বপুরুষরা যে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করে গিয়েছেন, সেই ভাবেই মায়ের পুজো হয়ে থাকে প্রত্যেক বছর।’’
বিগত দিনে রঘুনাথগঞ্জের এই সাবেক পরিবারের পুরনো ভিটিতেই পূজিত হতেন দেবী। পরবর্তীতে নানা অসুবিধের কারণে সেখান থেকে মাকে মির্জাপুর নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেবী এখানে অষ্টধাতুর। এই বৃহৎ আকারের প্রতিমা হওয়ার কারণেই প্রশাসনেরও নজরদারি আছে এই প্রতিমার দিকে। তাই পুজোর চারদিন চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই মন্দিরে।