লকডাউনের মাস ছয়েক আগে এলাকার কিছু স্বেচ্ছাসেবক মিলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দিনরাত সার্ভিস চালু করেছিল মূলত অশোকনগর পুর এলাকার প্রবীণদের সাহায্য করতে।প্রয়োজনে আ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাসপাতালে পৌছে দেওয়া বা ডাক্তার দেখিয়ে আনা কিংম্বা ওষুধ এনে দেওয়া। মূলত এলাকার নিঃসঙ্গ প্রবীন নাগরিকদের জন্য এই ব্যবস্থাটা তারা শুরু করেছিলেন। লক ডাউন এর পর সম্পূর্ণ পরিসেবার ব্যবস্থার পরিধি তারা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন তাদের হেল্পলাইন নম্বার টি একটি কল সেন্টারের মত কাজ করছে।
advertisement
অশোকনগর পুরসভার আট নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মীনাক্ষী মন্ডলের স্বামী লক ডাউনের জেরে ব্যাঙ্গালোরে আটকে রয়েছেন।মীনাক্ষী মন্ডল ও নিজে অসুস্থ। ঘরের ওষুধ শেষ।নিরুপায় মীনাক্ষী মন্ডলের মুসকিল আসন করে হৃদয়ে অশোকনগরের হেল্প লাইন নং।
ফোন করার মিনিট ১৫ মধ্যে ঘর দরজায় হাজির স্বেচ্ছাসেবক। প্রেসকিপ্সন নিয়ে সটান তারা ওষুধের দোকান থেকে নিয়ে এনে দিচ্ছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। আর কোন ওষুধ এক দোকানে না পেলে অন্য দোকান ঘুরে তাও যোগাড় করে দিচ্ছেন তারা।মীনাক্ষী মন্ডল মতই অশোকনগর পুরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেবা ভট্টাচার্য এর সমস্যা। দুধের শিশু নিয়ে বাড়িতে তিনি একা লক ডাউন বেড়তে পারছেন না।
ওষুধ আর মুদিখানার জিনিষ আনতে অগত্য হৃদয়ে অশোকনগরকে ফোন করেন তিনি।লক ডাউনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে আলাদিনের প্রদীপের মত তারও দরজায় হাজির স্বেচ্ছাসেবক। ওষুধ থেকে মুদি দোকানের জিনিষ একে একে সব তারা পৌছে দিয়ে গেছে ঘরের দোরে।তবে প্রতিটা জিনিষের দাম তাদেরকে মিটিয়ে দিতে হয়েছে।হৃদয়ে অশোকনগর সংস্থার দাবী তারা বিনা পয়সায় এই শ্রমটা দিচ্ছেন। এবার কিছু দানও পেয়েছেন। তা নিয়ে এলাকার গরীব ও অভুক্ত মানুষের কাছে পৌছানো তাদের লক্ষ।