কয়েক বিঘা জমি জুড়ে এই অভিনব পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, বাংলার ঘরে ঘরে মায়েরা সারাদিন যেভাবে হেঁসেল সামলান, সেই পরিশ্রম, স্নেহ ও ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই থিম। তাঁদের কথায়, প্রতিবছর সমাজের কোনও না কোনও দিককে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। এই বছর ভাবনা ছিল মায়েদের প্রতি সম্মান জানানো।
advertisement
এই পুজোর দেবী প্রতিমাতেও রয়েছে বিশেষ ছোঁয়া। এখানে দেবী জগদ্ধাত্রী এক স্নেহময়ী মাতার রূপ নিয়েছেন। সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন তিনি। মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোকসজ্জা- সবকিছু মিলিয়ে যেন এক মাতৃত্বের মহোৎসব। নবমী থেকেই মণ্ডপ চত্বরে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকলেই এই ‘হেঁসেল’-এর শিল্পকলা দেখতে ছুটে আসছেন। বিশেষ করে নারীরা এই থিমে নিজেদের সঙ্গে একাত্মতা খুঁজে পাচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বাংলার হারিয়ে যাওয়া পটচিত্র শিল্পের ছোঁয়াও মণ্ডপে ব্যবহৃত হয়েছে। বাঁশ, কাঠ ও কাপড় দিয়ে রান্নাঘরের প্রতিটি উপকরণ তৈরি হয়েছে। চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা এই থিমকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর থিমে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে কয়াডাঙ্গা দেশবন্ধু ক্লাবের এই অভিনব মণ্ডপ। দর্শনার্থীদের মতে, এই হেঁসেল না দেখলে এবারের পুজো যেন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।





