রাজার আমলে তৈরি হওয়া এই ‘অশোক স্তম্ভ’ নিয়ে রয়েছে বহু অজানা ইতিহাস। জানা যায়, পঞ্চকোট রাজবংশের শেষ রাজধানী কাশীপুর থাকাকালীন এই ‘অশোক স্তম্ভ’ নির্মিত হয় কাশীপুরের বুকে। কাশীপুর বাজার এলাকায় থাকা ‘অশোক স্তম্ভ’ আজ শুধু কাশীপুরেই নয়, সমগ্র পুরুলিয়া জেলাবাসীর কাছে একটি ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়।
আরও পড়ুন: ছিল না কানাকড়ি, আচমকা বদলে গেল জীবন…! ৬৫ চিত্রকর পরিবারের ভাগ্য বদলাল কোন পথে জানেন
advertisement
যদিও বহু প্রাচীন এই ‘অশোক স্তম্ভটি’ বছর কয়েক আগে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হতে বসেছিল। যদিও তারপর কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ‘অশোক স্তম্ভের উপরে তৈরি করা হয়েছে সেড। কিন্তু এই প্রাচীন স্তম্ভটি টিকিয়ে রাখতে আরও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে স্থানীয়দের মত। এই অশোক স্তম্ভকে সরকার দ্বারা উপযুক্ত সংরক্ষণের দাবি করছেন কাশীপুরবাসী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কাশীপুর এলাকার প্রবীণ নাগরিক তথা বিশিষ্ট শিক্ষক নন্দদুলাল গোস্বামী জানিয়েছেন, “কাশীপুর এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে বোর্ডিং স্কুল তৈরির জন্য কাশীপুরের তৎকালীন রাজা সরকারকে জমি দান করেছিলেন। সেই স্কুল তৈরির সময় ওই জমিতেই ভারতের জাতীয় প্রতীক ‘অশোক স্তম্ভের নির্মাণ করেছিলেন রাজা।” তবে সেই বোর্ডিং স্কুল কালের নিয়মে আজ পুরোপুরি ভাবে ভেঙে পড়েছে।
কিন্তু এখনও রাজ আমলের সাক্ষী হয়ে অবশিষ্টাংশ এখনও পড়ে রয়েছে। আর তার পাশেই থাকা স্কুলের সেই জমিতে ‘অশোক স্তম্ভটি আজও টিকে রয়েছে কালের সঙ্গে যুদ্ধ করে। কাশীপুরের বুকে আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজার আমলে তৈরি হওয়া ভারতের জাতীয় প্রতীক ‘অশোক স্তম্ভ।’
শান্তনু দাস