জানা যায়, মধ্যমগ্রাম পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে হঠাৎই আগুন লাগে। এলাকার মানুষজন সেই দৃশ্য দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পৌরসভাকে জানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলে দুটি ইঞ্জিন। দুটো ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হয়। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বিস্তীর্ণ এলাকার আকাশ ঢাকে কালো ধোঁয়ায়। সেই বিষাক্ত ছাই আকাশ জুড়ে ভেসে বেড়ায় এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত।
advertisement
ডাম্পিং গ্রাউন্ড সংলগ্ন স্থানীয় বেশ কিছু বাড়িতেও আগুনের হলকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌর প্রধান নিমাই ঘোষ। মধ্যমগ্রামের দিগবেরিয়া তেতুলতলায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এই আগুন কিভাবে লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বর্জ্য পদার্থের পাহাড় জমে থাকায় কোনভাবে আগুন লেগেই এমন বিপত্তি বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিষাক্ত ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে অনেকেই অসুস্থ বোধ করছেন বলে জানা গিয়েছে।
অপরদিকে, এই একই ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে পানিহাটির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মহেন্দ্রনগর খেপলির বিল এলাকায়। এলাকার বেশ কয়েক বিঘা নল বন ঘেরা জমিতেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কেউ বা কারা এই আগুন লাগিয়েছে বলেই অনুমান স্থানীয়দের। শুকনো অবস্থায় থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়। স্থানীয় এলাকার মানুষের মধ্যেও ছড়ায় আতঙ্ক, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোদপুর ফায়ার ব্রিগেডের একটি ইঞ্জিন। স্থানীয়রা জানান, এই খেপলির বিলে প্রতিবছরই আগুন লাগানো হয়। পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত করেই বিলকে জমিতে পরিণত করার পরিকল্পনায় এই অগ্নিসংযোগ বলে অনেকেই মনে করছেন। নানা প্রান্তে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছড়ানো আতঙ্ক সহ গোটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
Rudra Narayan Roy