#আসানসোল: খনি শিল্পাঞ্চলকে দূষণমুক্ত করার জন্য প্রয়োজন বনসৃজন। শুধু বনসৃজন নয়, স্পেশ্যাল প্যাকেজ দিয়ে বৃক্ষরোপন করলেই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পাবে এলাকায়। সেই কথা মাথায় রেখে আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রীয় তাঁর মন্ত্রক থেকে বনসৃজনের বিশেষ প্যাকেজ দিতে আগ্রহী। আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির নাম করে সরাসরি ট্যুইট করলেন বাবুল। মেয়রকে তিনি জমির ব্যবস্থা করতে বলেন। জমির ব্যবস্থা হলেই তাঁর মন্ত্রক থেকে ২ কোটি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন। তবে ট্যুইটের জবাবে মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি আবার কেন্দ্রের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের কাছেই জমি চেয়ে বসলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে উন্নয়নের আড়ালে কী ফের রাজনীতি শুরু হল?
advertisement
সেই পুরানো বাবুল বনাম জিতেন্দ্ররের ঠাণ্ডা লড়াই। কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রীয় তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করেন, “আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে অনুরোধ করব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসানসোলে ‘নগরবন’ বানানোর জন্য জায়গা নির্ধারিত করতে। যাতে আমি ২ কোটি টাকা অনুদান আসানসোলের জন্য দ্রুত রিলিজ করতে পারি।” উল্লেখ্য, কেন্দ্রের ক্যামপা ফাণ্ড থেকে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৩৬.৪৮ কোটি টাকা। ওই ক্যামপা ফাণ্ডের মধ্যে নগরবন একটি প্রকল্প। নগরবনের জন্য প্রয়োজন ১০.৫০ হেক্টর জমি। ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে গাছ লাগানো, ফেন্সিং ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
বাবুল সুপ্রিয় ট্যুইটে জানিয়েছেন, ২০২০-২১ সালের ৪০ টি নগরবন প্রকল্প তৈরির লক্ষ্য রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনটি রাজ্যে ১৪ টি নগরবনের জন্য আবেদন করায় ২ কোটি টাকা করে অর্থ মঞ্জুর হয়েছে। ৩১ আগস্টের মধ্যে নগরবন তৈরির আবেদন তথ্য সহকারে পাঠিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকে। তারপরেই অক্টোবর থেকে অর্থ মঞ্জুর করে কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন সরকারি কাজের প্রস্তাব ট্যুইট করে হয় না। তবু বাবুল সুপ্রীয়র ট্যুইটকে সম্মান জানিয়ে আমি দ্রুত জমির ব্যবস্থা করছি।
আসানসোলের বেশিরভাগ পরিত্যক্ত জমি রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা রেল, সেইল ও ইসিএলের হাতে। ওই সংস্থাগুলিকে দ্রুত চিঠি পাঠিয়ে আবেদন করবো যেন নগরবন প্রকল্পে জমি তাঁরা দেন। পাশাপাশি বাবুলবাবুকেও বলব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে তিনি যেন ওই সংস্থাগুলিকেও জমির ব্যাপারে তদ্বির করে দেন।