প্রতিমায় মাটির প্রলেপ দেওয়ার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। একই ব্যস্ততা আসানসোলের কুমোরটুলিতে। এই কুমোরটুলিতে তৈরি প্রতিমা রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পৌঁছে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে মণ্ডপে মণ্ডপে পৌঁছে দিতে হবে প্রতিমা। তারই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। সকাল থেকে রাত জেগে হচ্ছে কাজ। গরমের মধ্যেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন মৃৎ শিল্পীরা।
আরও পড়ুন : ছোট্ট সমাপ্তির বড় জয়! যোগাসনে সোনা জিতে উজ্জ্বল দিঘার নাম
advertisement
মৃৎ শিল্পী রঞ্জিত পাল বলেন, “ আমি ১৯৭২ সাল থেকে এই পেশায় যুক্ত রয়েছি। আর কুমোরটুলির কাজ শুরু করেছি ১৯৮১ সাল থেকে। রং, সুতলি দড়ি, কাপড়ের দাম বেড়েছে অনেকটা। তবে আমরা সেভাবে প্রতিমার দাম বাড়ায়নি। আমি প্রত্যেক বছর একটা সীমার মধ্যে অর্ডার গ্রহণ করি। দুমাস আগেই অর্ডার বন্ধ করে দিয়েছি। এখন প্রত্যেক দিনই বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি”।
আরও পড়ুন : সংসারে অভাব, পেটে ভাত ছিল না! বান্ধবীর এক কথাতেই বদলে গেল সরস্বতীর জীবন
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে রয়েছে কুমোরটুলি পাড়া। যেটি মহিশীলা কলোনিতে অবস্থিত। মৃৎ শিল্পী রঞ্জিত পাল প্রায় পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি সময় ধরে এই ব্যবসা করে চলেছেন। প্রত্যেক বছর তিনি ৭০ থেকে ৭৫টি প্রতিমা অর্ডার গ্রহণ করেন। এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। এই কুমোরটুলি থেকেই আসানসোলের বড় বড় পুজো মণ্ডপে পৌঁছে যায় প্রতিমা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধু তাই নয়। রঞ্জিত পালের হাতে তৈরি প্রতিমা এখন পৌঁছে যাচ্ছে ভিন রাজ্য রাজস্থান, বিহারম ঝাড়খন্ডে। তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৮ জন মৃৎ শিল্পী রয়েছেন। কেউ এসেছেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, কেতুগ্রাম থেকে, কেউ এসেছেন নদিয়া জেলা থেকে। তবে মৃৎ শিল্পীরা জানাচ্ছেন, অনেক পরিশ্রমের কারণে এখন বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা কেউ এই মৃৎশিল্প পেশায় এগিয়ে আসছেন না। তাই আগামীতে এই মৃৎশিল্পের ভবিষ্যৎ কোন দিকে পৌছয়, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পরেছে মৃৎশিল্পীদের।