গড়াই বাড়ির সদস্য সোমনাথ গড়াই বলেন, “১৯৭২ সাল থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। আমাদের বাড়িতে দুইদিন ব্যাপী ভোগের আয়োজন করা হয়। প্রথমদিন মিষ্টির ভোগ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন অন্নকুট উৎসব হয়। পুজোয় আসেন আসানসোলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা”।
আরও পড়ুন:
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের গড়াই রোডে রয়েছে গড়াই বাড়ি। এই শহরের বুকে নামকরা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং দানবীর হিসাবে খ্যাত। শহরের মধ্যে বহু ভাল কাজের নিদর্শন রয়েছে এই গড়াই বাড়ির। ১৯৫৮ সালে এসবি গড়ায় রোড আগে মোরামের রাস্তা ছিল সে সময়ে ষষ্ঠী নারায়ণ বাবু এই রাস্তা মেটাল রোড তৈরি করেছিলেন। পাশাপাশি এই রাস্তার স্ট্রিট লাইটের জন্য ৫০০ টিউবলাইট বোম্বে থেকে নিয়ে এসে আসানসোল কর্পোরেশনকে দিয়েছিলেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়া শহরের বুকে বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের উন্নতির জন্য বহু কাজ করে গিয়েছেন ষষ্ঠী নারায়ণ বাবু। এই গড়াই বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো ১৯৭২ সাল থেকে হয়ে আসছে। এখানে মা লক্ষ্মীকে রাজলক্ষ্মী রূপে সাজান হয়। আগে লক্ষ্মী পুজো একদিনের হত, পরের দিন প্রতিমা নিরঞ্জন করা হত। কিন্তু ২০০২ সালে বাড়ির সদস্যা মারা যান দুর্গা পুজোর সময়। সেই বছর ভাল ভাবে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করতে পারেনি পরিবার। ঠিক তার পরের বছর লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন দুইদিন ব্যাপী। তখন থেকে মা লক্ষ্মীকে দুইদিন বাড়িতে রাখা হয় ও দুইদিন রাজকীয় ভোগ নিবেদন করা হয়। লক্ষ্মীপুজোর রাতে বাড়ির তৈরি ১০৮ রকমের মিষ্টি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয় সঙ্গে থাকে বড় সাইজের নাড়ু ও ১৫ কেজি ওজনের কদমা। পরের দিন অন্নকূট উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে মা লক্ষ্মীকে ৫৬ রকমের ভোগ নিবেদন করা হয় ও সেই ভোগ এলাকার স্থানীয়দের খাওয়ান হয়।