TRENDING:

Lakshmi Puja 2025: ১০৮ রকমের মিষ্টি, ১৫ কেজির কদমা, ৫৬ রকমের ভোগ, আসানসোলের 'এই' লক্ষ্মীপুজোয় নিবেদনের তালিকা চমকে দেবে আপনাকে

Last Updated:

আসানসোলের এই বাড়ির কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোয় দুই দিনব্যাপী দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ। আসেন মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আসানসোল, রিন্টু পাঁজা: শারদ উৎসবের পরে পূর্ণিমা তিথিতে হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বাঙালির প্রায় প্রত্যেকটা বাড়িতেই হয়ে থাকে। আয়োজন করা হয় বিশেষ ভোগের। তবে আসানসোলের এই বাড়ির পুজোর আয়োজন ও ভোগের বিশেষত্ব জানলে আপনিও অবাক হবেন। আসানসোলের সবথেকে দীর্ঘ ও ব্যস্ততম রাস্তার নাম এসবি গড়াই রোড। গড়াই বাড়ির কর্তা শশীভূষণ নামাঙ্কিত এই রাস্তা। শশীভূষণের ছেলে ষষ্ঠী নারায়ণ গড়াই ছিলেন আসানসোলের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। প্রয়াত ষষ্ঠী নারায়ণ গড়াই ও তাঁর স্ত্রী সুধারানীর পারিবারিক লক্ষ্মীপুজোর প্রথম প্রচলন করেছিলেন আজ থেকে প্রায় ৫৩ বছর আগে। তখন থেকে হয়ে আসছে এই পুজো। স্বাভাবিকভাবে বাড়ির পুজোয় মেতে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement

গড়াই বাড়ির সদস্য সোমনাথ গড়াই বলেন, “১৯৭২ সাল থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। আমাদের বাড়িতে দুইদিন ব্যাপী ভোগের আয়োজন করা হয়। প্রথমদিন মিষ্টির ভোগ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন অন্নকুট উৎসব হয়। পুজোয় আসেন আসানসোলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা”।

আরও পড়ুন: 

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের গড়াই রোডে রয়েছে গড়াই বাড়ি। এই শহরের বুকে নামকরা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং দানবীর হিসাবে খ্যাত। শহরের মধ্যে বহু ভাল কাজের নিদর্শন রয়েছে এই গড়াই বাড়ির। ১৯৫৮ সালে এসবি গড়ায় রোড আগে মোরামের রাস্তা ছিল সে সময়ে ষষ্ঠী নারায়ণ বাবু এই রাস্তা মেটাল রোড তৈরি করেছিলেন। পাশাপাশি এই রাস্তার স্ট্রিট লাইটের জন্য ৫০০ টিউবলাইট বোম্বে থেকে নিয়ে এসে আসানসোল কর্পোরেশনকে দিয়েছিলেন।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
১০৮ রকমের মিষ্টি, ১৫ কেজির কদমা, ৫৬ রকমের ভোগ! জানুন 'এই' লক্ষ্মীপুজোর নিবেদনের তালিকা
আরও দেখুন

এছাড়া শহরের বুকে বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের উন্নতির জন্য বহু কাজ করে গিয়েছেন ষষ্ঠী নারায়ণ বাবু। এই গড়াই বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো ১৯৭২ সাল থেকে হয়ে আসছে। এখানে মা লক্ষ্মীকে রাজলক্ষ্মী রূপে সাজান হয়। আগে লক্ষ্মী পুজো একদিনের হত, পরের দিন প্রতিমা নিরঞ্জন করা হত। কিন্তু ২০০২ সালে বাড়ির সদস্যা মারা যান দুর্গা পুজোর সময়। সেই বছর ভাল ভাবে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করতে পারেনি পরিবার। ঠিক তার পরের বছর লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন দুইদিন ব্যাপী। তখন থেকে মা লক্ষ্মীকে দুইদিন বাড়িতে রাখা হয় ও দুইদিন রাজকীয় ভোগ নিবেদন করা হয়। লক্ষ্মীপুজোর রাতে বাড়ির তৈরি ১০৮ রকমের মিষ্টি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয় সঙ্গে থাকে বড় সাইজের নাড়ু ও ১৫ কেজি ওজনের কদমা। পরের দিন অন্নকূট উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে মা লক্ষ্মীকে ৫৬ রকমের ভোগ নিবেদন করা হয় ও সেই ভোগ এলাকার স্থানীয়দের খাওয়ান হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Lakshmi Puja 2025: ১০৮ রকমের মিষ্টি, ১৫ কেজির কদমা, ৫৬ রকমের ভোগ, আসানসোলের 'এই' লক্ষ্মীপুজোয় নিবেদনের তালিকা চমকে দেবে আপনাকে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল