দুর্গাপুজো আসছে মানেই বাঙালির বিভিন্ন সাজগোজ খাওয়া দাওয়া, প্যান্ডেল হপিং, রূপসজ্জা থেকে শুরু করে সবকিছুইর ব্যস্ততার লক্ষ্য করা যাবে। তবে এবার পুজোয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই এলাকার থাকছে একটু অন্যরকম ছোঁয়া। একসঙ্গে পাবেন একাধিক জিনিস।
আরও পড়ুন : মাঠ ঘিরে প্রাচীর, তোরণ, আলো -সবই তৈরি! কিন্তু এক দাবিতেই থমকে গেল স্টেডিয়াম প্রকল্প
advertisement
অনেকেই আছেন, যারা হয়ত বাইরে কোনও মন্দির হোক বা কোন ঘুরতে যাওয়ার জায়গা যেতে পারেন না। সময়ের অভাবেই হোক বা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বলতার কারণেই হোক। কিন্তু সেই দূর দূরান্তের মন্দির যদি হাতের নাগালে পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়? নিশ্চয়ই ভাল লাগবে! পুজোয় এবার দিল্লির অক্ষরধামের আদলে গড়ে উঠছে পুজোর মণ্ডপ। পাশাপাশি থাকছে আরও অনেক কিছু।
আরও পড়ুন : স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে ভাগ্যের চাকা! চাহিদা তলানিতে, বিক্রি করেও মেলে না লাভ
পুজো কমিটির সদস্য অমরনাথ শর্মা বলেন, “প্রত্যেক বছর পুজো শেষ হওয়ার পরেই আমরা একটি বৈঠকে বসি এবং চিন্তা ভাবনা করি আগামী বছর কী থিমের পুজো করা যায়। ধেমোমেইন কোলিয়ারি পুজো অনেক পুরনো। প্রত্যেক বছরই আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সেরার সেরা হিসাবে পুরস্কার অর্জন করি। আমরা বাইরে থেকে কোথাও চাঁদা সংগ্রহ করি না। এটা আমাদের ধেমোমেইন কোলিয়ারির ECL ওয়ার্কার কমিটির পুজো। আমরা নিজেদের মধ্যেই পুজোর আয়োজন করি।
ধেমোমেইন কলিয়ারী পুজো এই বছর ৫৫ তম বর্ষে পদর্পন করছে। এই বছরে দিল্লির অক্ষরধামের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। নদিয়া জেলা থেকে সুদক্ষ মিস্ত্রি নিয়ে এসে এই মণ্ডপের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রায় এক মাস ১৫ দিনে আগে থেকে চলছে কাজ। এবার এই পুজোর বাজেট প্রায় ৫০ লক্ষ ধরা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মণ্ডপের ভিতরে থাকবে কেদারনাথ মন্দিরের বিভিন্ন দৃশ্যপট। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন করতে চন্দননগরের আলো দিয়ে সম্প্রীতি অপারেশন সিন্দুরের বিভিন্ন কার্যকলাপ লাইটের মাধ্যমে ফুটে উঠবে মণ্ডপে। প্রতিমাতেও থাকছে নতুনত্বের ছোঁয়া। তৃতীয়ার দিনে এই মণ্ডপের উদ্বোধন হবে এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে আপনাকে পুজোয় আসতে হবে আসানসোলের এই ধেমোমেইন কোলিয়ারির পুজোতে। না দেখলেই মিস করবেন।