আসানসোল পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল জিতলেও মেয়র বাছা হয় বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে৷ যদিও পুরভোটে তখন লড়েননি বিধান৷ তাই ছ' মাসের মধ্যে তাঁকে ভোটে জিতে আসতে হত৷ সেই কারণেই ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল৷ পদত্যাগ করেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর৷ উপনির্বাচনের দিন তৃণমূল- বিজেপি সংঘাতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসানসোল৷ যদিও ভোটের ফলে দেখা গেল পাঁচশো ভোটও পাননি বিজেপি প্রার্থী৷
advertisement
আরও পড়ুন: আদালতে পেশের আগে হঠাৎ আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত, মুখেও ফিরল হাসি! ভোল বদলে রহস্য
সাত ভোট গণনার পর দেখা যায়, মোট ভোট পড়েছে ৮৪৫৭৷ তার মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী বিধান উপাধ্যায় একাই পেয়েছেন ৬৬৮৩টি ভোট৷ দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ১২০৬টি ভোট৷ বিজেপি-র প্রাপ্ত ভোট ৪৮৫, কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৮৩টি ভোট৷
অন্যদিকে বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনেও জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ এই ওয়ার্ডটি তৃণমূলের দখলেই ছিল৷ কিন্তু পুরপ্রতিনিধির মৃত্যু হওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন করতে হয়৷ এই ওয়ার্ডে অবশ্য দ্বিতীয় স্থান দখল করতে পেরেছে বিজেপি৷ তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী পাপাই রাহা পেয়েছেন ২৮৪২টি ভোট৷ সেখানে বিজেপি প্রার্থী অরূপ কুমার পাল পেয়েছেন ৭২৪টি ভোট৷ তৃতীয় স্থানে থাকা বামফ্রন্টের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩২টি ভোট৷ ২১১৮ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী৷
জোড়া দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে অস্বস্তির মধ্যেই এই জোড়া জয় নিঃসন্দেহে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় স্বস্তির৷
সহ প্রতিবেদন- অনিরুদ্ধ কীর্তনীয়া