আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত চিত্তরঞ্জন ৬ এরিয়ার পুজো ৭৪ তম বর্ষে পদার্পণ করল। বিভিন্ন জায়গায় থিমের পুজোর ভিড়ে একেবারে অন্যরকম ভাবনায় ফুটিয়ে তুলেছেন পুজোর মণ্ডপ। অন্যান্য থিমের পুজোতে, পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে সমস্ত জিনিসগুলি দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয় সেগুলো খুলে ফেলে দেওয়া হয় বা কোনও কাজে লাগে না অথবা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এই পুজোর মণ্ডপে যে সব জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে তা পরবর্তীতে পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেই সব জিনিসগুলি পরিবেশের জন্য যথেষ্ট উপকারী হবে। এবারে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বাজেটে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’ পুজো মণ্ডপের থিম। প্রায় আট হাজার গাছের চারা নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের ভিড়ে সামালসামাল, গাড়ি চলাচলের জোটুকু বন্ধ! জানুন ঘাটালের কোন পুজো কাঁপাল এলাকা
দর্শনার্থীরা মণ্ডপের মধ্যে প্রবেশ করতেই বাইরে মাঠে দেখতে পাবেন, আস্ত একটি বাগানের রূপ জায়গা তৈরি করা হয়েছে যার দুই ধারে দেওয়াল জুড়ে রয়েছে বাহারি রকমের গাছ। সেই গাছ প্রবেশের পরে ভিতরে ঢুকতেই প্যান্ডেলটির বাইরে রয়েছে বিভিন্ন রকমের গাছের চারা। এরপরে মণ্ডপের মধ্যে প্রবেশ করেই দেখতে পাবেন একদম প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাহারি গাছ। সেই গাছগুলো হয়ত আপনি অনেকদিন আগে কোথাও দেখেছেন বা কিছু গাছ আপনার সঙ্গে অপরিচিত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেগুলোর সঙ্গে আপনি নিজেকে পরিচিত করে নিতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই পুজো কমিটির এই অভিনব ভাবনা, এলাকার মানুষের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পর প্রায় আট হাজার গাছের চারা এলাকার স্থানীয় মানুষদের কাছে বিতরণ করে দেওয়া হবে। গাছগুলি তারা নিজ নিজ বাড়িতে রোপণ করবেন। স্বাভাবিকভাবেই এই গাছগুলি রোপণ করার পরে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। তাই এবারে পুজোয় আপনি অন্যান্য থিমের পুজো দেখতে গেলেও এটি অবশ্যই দেখতে যাবেন চিত্তরঞ্জনে।