যদিও এই আসানসোলের নামকরণ বিষয়ে অনেকে দাবি করেন যে ‘আসান’ হচ্ছে গাছের নাম এবং ‘শোল’ হচ্ছে মাটি। অর্থাৎ যে মাটিতে প্রচুর আসান গাছ পাওয়া যেত। তাই আসানসোল নামটি এসেছে। মূলত এই আসান গাছ শক্ত একটি বৃক্ষ। এটি একটি শাল প্রজাতির বৃক্ষ। আসানসোলে অনেক আগে যে বৃক্ষ দেখা যেত, তা এই শাল প্রজাতির ‘আসান’ গাছ বলে অনেকে দাবি করেন। তবে আসানসোল শহরে আসান গাছ আর দেখা যায় না, শুধুমাত্র দেখা যায় আসানসোল বি বি কলেজ ও আরেকটি খোঁজ পাওয়া গিয়েছে আসানসোল গার্লস কলেজে।
advertisement
আসানসোল বি বি কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ বসু ফোন মাধ্যমে জানান, বিভিন্ন বই, এবং হিস্টরিকাল রেফারেন্স কিছু আছে সেখানে আসান ট্রি নাম আছে। পূর্বে যখন আসানসোল শহরে শিল্প ও কংক্রিটের বাড়ি তৈরি হওয়ার আগে বন জঙ্গল ছিল, অনেক গাছ ছিল। সেই বন জঙ্গল কেটে সেখানে তৈরি হয়েছে কংক্রিটের বাড়ি। অন্যদিকে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যার বিভাগের অধ্যাপক অনিমেষ মন্ডল বলেন, “আসান গাছের অঙ্কুরোদগমের হার ৫০ শতাংশেরও কম। সেই কারণেই এই গাছ হারিয়ে গিয়েছে। কারণ বীজ থেকে এই গাছের অঙ্কুরোদগম সেইভাবে হয়নি। বাঁকুড়া থেকে যে হারে বীজ নিয়ে আসা হয়েছিল তার প্রায় ৪০ শতাংশ বীজ অঙ্কুরোদগম হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেই আসান গাছকে পুনরায় আসানসোল শহরে পুনর্জীবিত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বানোয়ারি লাল ভ্যালোটিয়া কলেজ বা বি বি কলেজ। ইতিমধ্যেই বর্ধমান সেরিকালচার ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে বি বি কলেজ একত্রিত হয়ে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা এবং এনএসএস বিভাগের পক্ষ থেকে কলেজে প্রায় ৩৫০০টি গাছের বীজ রোপণ করে ফুটে উঠেছে গাছের চারা এবং সেই গাছের পরিচর্চা চলছে। এই গাছগুলি আসানসোল শহরের বিভিন্ন এলাকায় রোপণ করা হবে। এর ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ ভারসাম্য বজায় থাকবে অন্যদিকে আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই কাজটি সম্পর্কে জানতে পারবেন যার ফলে আসানসোলের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন থাকবে।
রিন্টু পাঁজা