ভোর হতেই এলাকার বহু যুবক ফুলের চারা নিয়ে ট্রেনে চেপে ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিচ্ছে৷ স্বভাবতই এই কারণে নার্সারি মালিকদের মুখেও হাসি ফুটেছে। গাঁদা, গোলাপ, টগর, ক্যালেণ্ডুলা, চন্দ্রমল্লিকা সহ বিভিন্ন ফুলের চারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে অন্য রাজ্য গুলিতেও সাপ্লাই যায়। নার্সারি গুলিতেও তুমুল ব্যস্ততা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, এখন চারা বিক্রি করেও পূর্বস্থলীর বহু বেকার যুবক আয় করেন৷ এই প্রসঙ্গে এক নার্সারির মালিক জানিয়েছেন, এই এলাকাতে পূর্বস্থলী এবং পূর্বস্থলীর আশেপাশের অঞ্চল জুড়ে প্রায় কয়েক হাজার বেকার যুবক মরশুমী ফুলের চারা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে। এখান থেকে সমস্ত রকমের ফুলের চারা সরবরাহ করা হয় । প্রথমে চারাগুলো হাওড়া পাঠান হয় তারপর ওখান থেকে বেরিয়ে যায় বিভিন্ন রাজ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: পাখীরালয় নিয়ে বড় পরিকল্পনা! পর্যটক টানতে কী করতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন
কৃষিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘার কাছাকাছি জমিতে বিভিন্ন ধরণের ফুল চাষ করেন এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে গাঁদাফুল চাষই বেশি করেন তাঁরা। মেড়তলা, ঝাউডাঙ্গা অঞ্চলের হালতাচড়া, পলাশপুলি প্রভৃতি এলাকায় বেশি ফুল চাষ হয়। গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ সহ বিভিন্ন ধরণের ফুল চাষ হয়। তবে বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হয় এই এলাকায়।
আরও পড়ুন: ৩০ দিন রোজ সকালে একগ্লাস! ম্যাজিকের মতো ফল, কীভাবে বানাবেন এই স্পেশ্যাল পানীয়? জানুন
আর এখান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ফুল নদীয়া জেলার বেথুয়াডহরী, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে যায়। এমনকি ফুল ভিন রাজ্যেও সরবরাহ করে থাকেন চাষিরা ৷ এখানকার প্রায় বেশির ভাগ বাসিন্দাই বিঘা বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, পূর্বস্থলী জুড়ে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে প্রায় দু’শ এর কাছাকাছি নার্সারি রয়েছে৷ নার্সারি শিল্পের উপরেই কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল হয়ে রয়েছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী