একটি লাউ দিয়ে মাথা এবং অপর একটি লাউ দিয়ে দেহ বানিয়ে মা দুর্গার অপূর্ব রূপ ফুটিয়েছেন চৈতালি। সেই অবয়বকে পরিয়েছেন গয়না। সেই গয়নাগুলিও নিজের হাতেই তৈরি করেছেন তিনি। চৈতালি বলেন, “প্রতিব ছর নতুনত্ব কিছু করে থাকি। এই বছরও সেই কারণে মা দুর্গার মূর্তি তৈরি করলাম। বেছে নিলাম লাউ। পরবর্তীকালে আরও নতুনত্ব করার ইচ্ছে রয়েছে।”
advertisement
বন্যার কারণে সবজির দাম বেড়েছে। সবজি বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পুজোর আগে যেন গোড়া থেকে নড়ে উঠেছে বাঙালি মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক অবস্থা। চৈতালি বিশ্বাস তাদেরই একজন। পরিশ্রম করে নিজের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি প্রতিদিন বাজারও করতে যান চৈতালি। বাজারে গিয়ে দুর্মূল্য শিকার তিনিও এবং সেই কারণেই সবজির মধ্যে মা দুর্গাকে ফুটিয়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বাঁকুড়ার গৃহবধূ। এক্ষেত্রে মহিষাসুর মূল্যবৃদ্ধি। চৈতালি বলেন, “আমি যে নতুনত্ব শিল্পকর্ম করে থাকি তার জন্য আমাকে উৎসাহ দেন আমার পরিবার থেকে প্রতিবেশী সকলে। তাঁদের উৎসাহ দেখেই আমি উদ্বুদ্ধ হই।”
দুর্গাপুজোর সামনে এবং দুর্গা পুজোর আগে মন ভাল নেই বাঙালির। বন্যার কবলে রাঢ় বাংলা। জেলা বাঁকুড়াও। বেশ কয়েকদিন আগে বাঁকুড়ার আরেক গৃহবধূ অর্পিতা তৈরি করেছিলেন আখের ছাল দিয়ে মা দুর্গা। আমেজ ধরে রাখতে চৈতালি লাউ দিয়ে তৈরি করলেন মূর্তি।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়