কয়েক মাস ধরে দত্তপুকুরের কারখানাতে তৈরি এই রামের মূর্তি ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়েছে অযোধ্যার উদ্দেশে। শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ দত্তপুকুরের এই শিল্পীদের কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরেই বরাত দেওয়া হয় দুটি সুউচ্চ ফাইবারের রামের মূর্তি তৈরির। সেই অনুযায়ী দত্তপুকুরের শিল্পী জামালউদ্দিন ও তার ছেলে বিট্টু-সহ কারখানার অন্যান্য কর্মচারীরা মিলে গত কয়েক মাসের নিখুঁত হাতের কাজে ফুটিয়ে তোলেন প্রায় ১৭ ফুটের দু’টি রামের মুর্তি। যে মূর্তিগুলি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার উপর।
advertisement
রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই মূর্তিগুলি মন্দিরে স্থাপনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দত্তপুকুরের শিল্পী এই বাবা ও ছেলের কৃতিত্ব রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শিল্পী জামালউদ্দিন জানান, ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত মত, একজন শিল্পীর কাছে সকল ধর্মের মানুষই এক। তাই একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও, হিন্দু দেবতার মূর্তি বানাতে পেরে তিনি গর্বিত।
রাম মন্দিরে বাংলার শিল্পীর তৈরি রামের মূর্তি স্থাপন, যেন দেশের মধ্যে বাংলার মুখ আরও উজ্জ্বল করল বলেই মনে করছেন অনেকে। গোটা রাজ্য এখন এই শিল্পীদের নিয়ে রীতিমতো গর্ব অনুভব করছে। পাশাপাশি দত্তপুকুর এর আরেক শিল্পী সৌরভ রায়-ও রাম মন্দিরে কাজের জন্য অযোধ্যায় পাড়ি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে, অযোধ্যার নবনির্মিত রাম মন্দিরে বাংলার শিল্পীর ছোঁয়া রাজ্যবাসীদেরও গর্বিত করবে বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা।
Rudra Narayan Roy