আরও পড়ুন: জেনেশুনেই পান করতে হচ্ছে আয়রনযুক্ত জল! নলকূপ বসানো নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ
পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক শিল্প। রয়েছে বংশ পরম্পরায় সেইসব শিল্পকে বয়ে নিয়ে আসা শিল্পীরাও। পূর্ব বর্ধমানের শিল্প মানচিত্রের অন্যতম একটি জায়গা হল দ্বারিয়াপুর। দ্বারিয়াপুর বিখ্যাত তার ঐতিহ্যবাহী ডোকরা শিল্পের জন্য। জেলা তো বটেই, জেলার বাইরে রাজ্য, এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছেছে এখানকার শিল্পীদের কাজ। গ্রামে রয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীও। গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে শিল্পীদের হাতের কাজের নিদর্শন। সময় হলেই নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেন শিল্পীরা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন আসেন এই গ্রাম ঘুরে দেখতে। ফেরার পথে তাঁদের অনেকেই সঙ্গে করে নিয়ে যান ডোকরা শিল্পের নানান জিনিস। তবে বর্তমানে বেশ খানিকটা সমস্যায় রয়েছে দ্বারিয়াপুরের ডোকরা শিল্পীরা।
advertisement
তাঁদের হাতের কাজ নজরকাড়া হলেও কমছে বিক্রির পরিমাণ। যার পিছনে রয়েছে এক অন্য কারণ। এই প্রসঙ্গে দ্বারিয়াপুর সোসাইটির সম্পাদক শুভ কর্মকার জানান, পালিশের বিষয়টি তাঁদের বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এটার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাঁদের কম বেশি সকলেই ভাল কাজ করছে। কিন্তু যেকোনও অনুষ্ঠানে অথবা অন্যান্য সময় ঝকঝকে জিনিস সবাই বেশি পছন্দ করেন আজকাল। যদিও তাঁরা পালিশ ছাড়াই ডোকরার জিনিস বিক্রি করেন। যে কারণে তাঁদের তৈরি জিনিসের বিক্রি আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
জানা গিয়েছে, এই গ্রামের শিল্পীরা বিভিন্ন মেলায় তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসেন। কিন্তু বর্তমানে সেইসব মেলায় বিক্রির পরিমাণ কমেছে। ক্রেতাদের স্বাদ বদল, চকচকে জিনিসের প্রতি অধিক আকর্ষণ এর কারণ। এই পালিশের দক্ষতা এখনও এখানকার ডোকরা শিল্পীরা আয়ত্ত করে উঠতে পারেননি। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তবে কি স্রেফ পালিশ করতে না পারার কারণে হারিয়ে যাবে দ্বারিয়াপুর গ্রাম?
বনোয়ারীলাল চৌধুরী