সরকার আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে তাদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়বে।
আগামিকাল থেকে শুরু হয়েছে বাসন্তী পুজো । পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকে উদ্যোক্তারা প্রতিমার জন্য মৃৎশিল্পীদের কাছে বায়না করে যান। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি । মৃৎশিল্পীরা ওর্ডার অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করেছেন কিন্তু বাদ সাধল করোনা। এই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সভা, সমাবেশ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার জন্য সরকার নির্দেশ জারি করেছেন।
advertisement
রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জের মৃৎশিল্পী পাড়ায় অসংখ্য প্রতিমার ওর্ডার পেয়েছেন। ওর্ডার অনুযায়ী প্রতিমা তৈরিও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আচমকা উদ্যোক্তা পুজা বন্ধ রাখার কথায় মৃৎশিল্পীদের জানিয়ে দেওয়ায় সমস্ত প্রতিমা শিল্পীর ঘরেই বন্দি হয়ে থাকল। মৃৎশিল্পীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে চড়া হারে সুদ দিয়ে টাকা তুলে প্রতিমা তৈরি করেন। প্রতিমা বিক্রি না হওয়ায় ঋনের টাকা কীভাবে শোধ করবেন তা তারা বুঝতে পারছেন না । সরকারকে তাদের পাশে দাঁড়াবার আবেদন করছেন শিল্পীরা৷ সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিলে আগামীতে তাদের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন শিল্পীরা।