তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বও মনে করছেন, জয় নিশ্চিত হলেও কে কত বেশি ব্যবধানে জিততে পারেন, সেই তাগিদ থেকেই এই ধরনের প্রবণতা তৈরি হচ্ছে৷ দল যে এই প্রবণতাকে সমর্থন করছে না, বর্ধমানে দলের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করতে গিয়ে সেই বার্তাই দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা অরূপ বিশ্বাস৷
আরও পড়ুন: পরনে জোড়া ফুলের শাড়ি, হাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার! বাড়ি বাড়ি ভোটে প্রচারে 'লক্ষ্মী'
advertisement
এ দিন বর্ধমান (Burdwan) শহরের লোক সংস্কৃতি মঞ্চে বর্ধমান পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাস৷ সেখানেই দলের প্রার্থীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, '২ হাজার- ৩ হাজার ভোটে জিতলে সেটাই হবে মানুষের আশীর্বাদ৷ এটাই হবে গনতন্ত্রের পুজো। কিন্তু দু' হাজারকে দু' হাজার পঞ্চাশ করতে যাবেন না।এটাই দলের নির্দেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যােয়র নির্দেশ৷'
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন৷ প্রতিটি জেলার পুরসভাগুলির জন্য বিভিন্ন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে৷ পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস৷
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে যতদিন তৃণমূল থাকবে ততদিন শান্তিপূর্ন নির্বাচন হবে না, কটাক্ষ অধীরের!
তৃণমূল যে গায়ের জোরে ভোটে জিততে চায় না, বার বার সেই দাবি করেছেন শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ কিন্তু বাস্তবে শাসক দলের বিরুদ্ধে গা জোয়ারি, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠছেই৷ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ চার পুরনিগমের ভোটেও একই অভিযোগ উঠেছে৷ ২৭ ফেব্রুয়ারির পুরভোটে সেই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি চায় না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন, 'মানুষের আশীর্বাদ ও উন্নয়ন কে পাথেয় করেই প্রার্থীরা ভোট চাইবেন। মানুষের আশীর্বাদকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল চলবে।'