বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করবেন তিনি। প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম হলেও সেই পিএইচডিতে ভর্তির কাউন্সিলিং নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য গৌতম চন্দ্র হুগলির জেলে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, ‘কী ভাবে অর্ণব বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিয়মিত ক্লাস করবেন? সে ক্ষেত্রে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি কে বা কারা দেখবেন? দ্বিতীয়ত অর্ণবকে পিএইচডি করতে দেওয়ার বিষয়ে জেল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা অনুমোদন রয়েছে কি না?” অর্ণব যেহেতু সংশোধনাগারে রয়েছেন, তাই কারা কর্তৃপক্ষের ‘নো অবজেকশন’ দরকার।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! ২০২৫-এ কী হবে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
কারা দফতর জানিয়ে দেয়, তাদের কোনও আপত্তি নেই। সেই মতো আগামিকাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিংয়ের দিন স্থির করা হয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধার জন্য রবিবার অর্ণব দামকে হুগলি জেল থেকে বর্ধমান জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হল। আপাতত বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশেধনাগারই হবে তার ঠিকানা। শিলদা কাণ্ডে অর্ণব দামের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পর হুগলির জেলে তিনি বন্দি ছিলেন।
ছোটবেলা থেকেই খুবই মেধাবী ছাত্র অর্ণব। জেল থেকেই অর্ণব স্নাতক হয়। সেখান থেকেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে। জেল থেকেই সেট পাশ করে অর্ণব। এরপর ইতিহাসে পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নেয় অর্ণব। সেই মতো হুগলি সংশেধনাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করে। প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও প্রথম হয় অর্ণব। কিন্তু কাউন্সেলিংয়ের আগে তার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন ওঠে, নিজে উপস্থিত থেকে ছ’মাসের বিশেষ ক্লাস কী ভাবে করবে অর্ণব। পরে সেই জট কাট। আগামিকাল সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য ভর্তি হতে চলেছে অর্ণব।