পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া হিসেবে পরিচিত রাজু ঝাকে খুন করার ঘটনার পরের মুহূর্তের এক ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় একজন মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। সেই ব্যক্তিই আব্দুল লতিফ বলে খবর চাউর হয়। আব্দুল লতিফ গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে খবর। অনুব্রত বর্তমানে গরু পাচার মামলায় জেলে। লতিফও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে। তাই রাজু ঝার খুনের সময় আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থলে কী করছিলেন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। রাজু ঝার খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক তরজা।
advertisement
এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং পৌঁছে যান রাজু ঝা-র দুর্গাপুরের বাড়িতে। বিতর্কিত ব্যবসায়ী রাজু ঝার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে অর্জুন সিং বলেন,‘‘ওঁর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই বিপদের দিনে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ালাম। এর সাথে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ সংবাদমাধ্যমে অর্জুন সিং বলেন, ‘‘রাজু ঝার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেও আব্দুল লতিফের নাম শুনলাম। ঘটনার পরপরই সে উধাও হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই তার ওপর সন্দেহটা বাড়ছে। লতিফকে ধরলেই রাজু ঝার খুনের কিনারা সম্ভব হবে বলে মনে করি।’’
তবে লতিফকে তিনি চেনেন না বলে দাবি করে অর্জুন সিং বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সিট গঠন করা হয়েছে। আশাকরি, আততায়ীরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।’’ অর্জুন সিংয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত, ‘‘রাজু ঝা খুনের ঘটনায় লিঙ্কম্যান লতিফ। তবে সেটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না। তদন্তকারীরা সেটা দেখছে। তবে লতিফ যহেতু ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে, তাই রাজু ঝার খুনের ঘটনার সাথে তার ওপর সন্দেহটা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে।’’
অর্জুনের এও দাবি, ‘‘রাজু ঝার পরিবারের লোকজনও তাঁকে জানিয়েছেন যে, রাজুর সঙ্গেই সেদিন একই গাড়িতে লতিফও ছিলেন। লতিফ গাড়ি থেকে নামতেই রাজুকে লক্ষ্য করে শক্তিগড়ের ল্যাংচা দোকানের সামনে গুলি চালায় আততায়ীরা।’’
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী