উল্লেখ্য, শুধুমাত্র পড়াশুনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়াই নয়। বৃদ্ধ দাদু,ঠাকুমা, বাবা-মা সহ অন্যান্য গুরুজনদের শ্রদ্ধা ভালবাসা একটা বড় দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আর এবার পুজো উপলক্ষে পাশে দাঁড়ানোর পাঠ দিলেন প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র রায় এবং অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এদিন প্রায় ১৮ জন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক সহ অন্যান্য কর্মীদের হাতে উপহার তুলে দেন স্কুলের ছাত্ররা।
advertisement
আরও পড়ুন: এক হাতে সংসার, আরেক হাতে পেট্রোল পাম্প! সবিতা ও অর্পিতা এখন দৃষ্টান্ত
জানা গেছে স্কুল পড়ুয়ারা টিফিন খরচ বাঁচিয়ে কুড়ি হাজার টাকা উপহার দিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে অভিভূত প্রধান শিক্ষক সহ স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক মালা ভট্টাচার্য জানান, ব”র্তমান দিনে ছেলেমেয়েরা সেভাবে কেউ গুরুজনদের প্রতি ভালবাসা শ্রদ্ধা এবং সম্মান সচরাচর খুব একটা চোখে পড়ে না।” এই ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়ারা বৃদ্ধাশ্রমে পাশে থেকে পুজোর সময় উপহার দেওয়া ভীষণভাবে খুশি আবাসিকরা। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা প্রত্যেকেই পড়ুয়াদের আশীর্বাদ করেছেন।
স্কুলের পড়ুয়ারদের বক্তব্য আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে প্রবীণরা আছে। তাদের সময় কাটানোর জন্য বাড়িতে বিভিন্ন জিনিস থাকে কিন্তু যারা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন তাদের সেভাবে সময় কাটনোর জন্য কিছুই থাকেনা। তাই আমরা স্কুল থেকে সমস্ত ছাত্ররা মিলে নিজেদের টিফিন খরচ বাঁচিয়ে প্রায় প্রত্যেককে কমবেশি টাকা দিয়ে তাদেরকে পুজোর সময় উপহার তুলে দিয়ে নিজেদের ভাল লাগছে।
Suvojit Ghosh