গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য় গতকালই ইডি-কে অনুমতি দিয়েছে দিল্লির আদালত। আদালতের এই নির্দেশের পরই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে উদ্য়োগী হয় পুলিস। এক তৃণমূলকর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে চায় পুলিস। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে গতকালই নতুন একটি এফআইআর দায়ের করে পুলিস।
advertisement
আরও পড়ুন: তালাবন্ধ দরজা, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির ফ্ল্য়াটের বাইরে অপেক্ষায় পুলিস
অনুব্রতকে এই মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করতে এ দিন সকালেই আসানসোল জেলে পৌঁছয় পুলিস। সেখান থেকেই অনুব্রতকে দুবরাজপুর আদালতে পেশ করে পুলিস। যদিও এই মামলার শুনানি চলাকালীন অনুব্রতর জামিনের আবেদনই করেননি তাঁর আইনজীবীরা।
বিরোধীরা অবশ্য় অভিযোগ করছেন, ইডি যাতে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি না নিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতেই হঠাৎ পুরনো মামলায় সক্রিয় হল পুলিস। এই অভিযোগ অবশ্য় উড়িয়ে দিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবী।
পুলিস সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবশঙ্কর মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী গতকাল দুবরাজপুর থানায় এসে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু সেই কথা জানতে পেরে তাঁকে দুবরাজপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে পাঠিয়ে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর গলা টিপে ধরেন এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করেন।
সূত্রের খবর, গতকালই অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন দুবরাজপুর থানায়। যদিও কবে পুলিস এই মামলায় এফআইআর রুজু করেছে, তা সরকারি অথবা অনুব্রতর আইনজীবী কেউই স্পষ্ট করেননি।
এ দিন শুনানি চলাকালীন তদন্তকারী অফিসারের থেকে বিচারক জানতে চান, কেন অনুব্রতকে হেফাজতে নিতে চান তারা? জবাবে পুলিশ আধিকারিক জানান, অনুব্রতকে জেরা করে তথ্য সংগ্রহেই তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত অনুব্রতর সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শুনানি শেষে অনুব্রতকে দুবরাজপুর থানার ভিতরে নিরাপদে রাখার জন্য় আলাদা ভাবে বিচারকের কাছে অনুরোধও করেন সরকারি আইনজীবী।