এরই মধ্যে চমকপ্রদ দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য। বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যদের মধ্যেই যে কোন্দল রয়েছে, তা প্রমাণ করে দিলেন তিনি। আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য দাবি করেন, ”কোর কমিটির এক বলিষ্ঠ সদস্য আমার কাছে একজনকে পাঠিয়েছিল। সে বলেছিল, কেষ্টদার সম্পর্কে এই কথাটা বলুন। আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। তার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে।” কিন্তু এই কোর কমিটির প্রভাবশালী সদস্য কে? উত্তরে ওই আইনজীবী বলেন, ”কোর কমিটির সব সদস্যই প্রভাবশালী।”
advertisement
প্রসঙ্গত, দিন সাতেক আগে একটি অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ সেই অডিও ক্লিপে অনুব্রত মণ্ডলকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায় বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে৷ শুধু লিটন নয়, তাঁর পরিবারকেও আক্রমণ করেন অনুব্রত৷
অডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে আসে স্পষ্ট নির্দেশ৷ চার ঘণ্টার মধ্যেই ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাইতে হবে অনুব্রতকে৷ নাহলেই করা হবে পদক্ষেপ৷ তারপরেই চিঠি লিখে ‘ক্ষমা’ চান কেষ্ট৷ দাবি করেন, তিনি নানা রকমের ওষুধ খান, তাই ওইসব বলে ফেলেছেন৷ কুকথা কাণ্ডে দল থেকে তো বটেই পুলিশের তরফ থেকেও পাঠানো হয় নোটিস৷ গত শনিবার এসডিপিও-র (বোলপুর) দফতরে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয় অনুব্রতকে। সেদিন তিনি হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় রবিবার বেলা ১১টায় ফের তাঁকে দ্বিতীয় নোটিস পাঠানো হয়৷
রবিবার তাঁর বদলে এসডিপিও অফিসে যান তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ও আইনজীবী৷ তাঁরা জানান, অনুব্রত ‘অসুস্থ’ তাঁকে ৫ দিন ‘বেড রেস্ট’ দিয়েছেন চিকিৎসক৷ তারপর, আজ, বৃহস্পতিবার অনুব্রত হাজির হলেন এসডিপিও অফিসে৷