সাধারণত জেলে সকাল ৯ টায় ঘুম ভাঙে অনুব্রত মণ্ডলের। তবে মহালয়াতে না কি দিনের আলো ফোটার আগেই উঠে পড়েন তিনি। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোনও বিশেষ দিনে আবাসিকদের জন্য একটু আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়। মহালয়ার ভোরে প্রতি বছর আবাসিকদের রেডিওতে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' শোনানো হয়। অনুব্রত মণ্ডল এদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই স্নান সেরে মহালয়া শোনায় মন দিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বোলপুর ব্যাঙ্কে লুকিয়ে অনুব্রতর আসল রহস্য? গোড়ায় ঘা সিবিআই-এর!
রবিবার সাধারণত জেলে মাছ-ভাত দেওয়া হয় আবাসিকদের। তবে এদিন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুমতি নিয়ে নিরামিষ খেয়েছেন কেষ্ট। তাঁর জন্য আলু-পটল-লাউ দিয়ে তরকারি করা হয়েছিল জেলে। সংশোধনাগারেই কলের জল দিয়ে স্নান করে পিতৃপুরুষকে স্মরণও করেন অনুব্রত। বাকি আবাসিকদের সঙ্গে এ দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে অনুষ্ঠানটি শুনে পরে কিছুক্ষণ বিছানাতেই কাটিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হুমকি চিঠি নিয়ে বিচারকের কাছেই মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল, তোলপাড় পড়ল বাংলায়
সংশোধনাগারে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও এই মুহূর্তে রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি, ইসিএলের আট শীর্ষ আধিকারিকও। জেল সূত্রে খবর, পুজোর জন্য বিশেষ পদের আয়োজনও রাখা হয়েছে। তবে অনুব্রতর আবদার রয়েছে দেশি মুরগির ঝোল ও পুকুরের ছোট মাছের।