সূত্রের খবর, সেখানেই মুড়ি এবং চা খান অনুব্রত৷ শক্তিগড় ল্যাংচার জন্য বিখ্যাত৷ অনুব্রতকে নিয়ে সিবিআই কর্তারা যে রেস্তোরাঁয় ঢোকেন তাঁর পাশে একাধিক ল্যাংচার দোকানও ছিল৷ যদিও গরু পাচার কাণ্ডে চাপে থাকা কেষ্ট মিষ্টিমুখ করেছেন কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়৷
অনুব্রতকে দেখতে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই রেস্তোরাঁর বাইরে ভিড় জমে যায়৷ অনুব্রত বেরনোর সময় তাঁকে লক্ষ্য করে অনেকে জয় বাংলা, খেলা হবে স্লোগানও দেন৷ তাঁদের উদ্দেশে পাল্টা হাত নাড়েন তৃণমূল নেতা৷
advertisement
এ দিন সকাল প্রায় সাড়ে সাতটার সময় অনুব্রতকে নিয়ে আসানসোলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সিবিআই৷ সম্ভবত অত সকালে প্রাতঃরাশ করতে পারেননি অনুব্রত৷ তাই মাঝপথেই তাঁর প্রাতঃরাশের ব্যবস্থা করেন সিবিআই আধিকারিকরা৷
১৪ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হওয়ার পর আজই অনুব্রত মণ্ডলকে ফের আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে৷ সকালে অবশ্য নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুব্রত বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, অনেক৷' অনুব্রত নিজেই জানান, আগের তুলনায় তাঁর শরীর অনেক ভাল আছে৷
আরও পড়ুন: লক্ষ্য শুভেন্দুর জেলা, পঞ্চায়েতকে সামনে রেখেই লোকসভায় চোখ অভিষেকের
মুড়ি বরাবরই অনুব্রতর প্রিয় খাবার৷ সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনও বাড়ি থেকে নিয়ে আসা মুড়ি খেয়েছেন অনুব্রত৷ তাছাড়া শারীরিক সমস্যার জন্য তাঁর খাওয়া দাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে৷
এ দিন সকাল থেকেই অবশ্য আদালতে যাওয়ার পথে অনেক আত্মবিশ্বাসী লেগেছে অনুব্রত মণ্ডলকে৷ আসানসোলে যাওয়ার পথে যানজটে গাড়ি আটকে যাওয়ায় অনুব্রতকে প্রশ্ন করেব সাংবাদিকরা৷ তখন হাসি মুখেই তাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিেত দেখা যায়৷ সকাল সাড়ে দশটার কিছু আগে অনুব্রতকে নিয়ে শক্তিগড়ের রেস্তোরাঁয় ঢোকেন সিবিআই কর্তারা৷