অনুব্রত নিজেও অবশ্য এ দিন জামিন পাননি৷ তাঁকে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি৷
আসানসোলের সিবিআই আদালতে এ দিন শুনানির শেষে সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যকে অনুব্রত জিজ্ঞেস করেন, 'পার্থ কেমন আছে?' জবাবে সুশান্ত বাবু অনুব্রতকে বলেন, নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে চা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর সঙ্গে সঙ্গে প্রথম প্রথম পার্থ খারাপ ব্যবহার করতেন৷ কিন্তু এখন তাঁকে ছাড়াই পার্থর চলে না৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর, পুজোর আগেই ৯৪০ যোগ্যদের চাকরির পদক্ষেপ! নির্দেশ হাই কোর্টের
গ্রেফতারির পর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়৷ অথচ অনুব্রতর ক্ষেত্রে উল্টো অবস্থান নিয়েছে দল৷ খোদ দলনেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বীরের সম্মান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ যদিও একদা সতীর্থকে যে তিনি ভোলেননি, তা বুঝিয়ে দিলেন কেষ্ট৷
শুধু পার্থর খোঁজ নেওয়াই নয়৷ গরু পাচার মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সুশান্তবাবুকে অনুব্রত প্রশ্ন করেন, 'আপনি ভারত সেবাশ্রমকে কোনও নোটিস দিয়েছেন?' জবাবে কোনও উত্তর না দিয়ে মুচকি হাসেন সুশান্তবাবু৷ প্রসঙ্গত, বীরভূমের মুলুকে ভারত সেবাশ্রম সংঘের জমিও জোর করে কিনে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রতর বিরুদ্ধে৷
আদালত কক্ষেই অনুব্রতকে ব্র্যান্ডেড সুপুরি খেতে দেখেন সুশান্তবাবু৷ তৃণমূল নেতাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, 'এ সব খাবেন না৷ এতেই শরীর খারাপ হয়৷' এ দিনও অনুব্রতর আইনজীবী তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে জামিনের আর্জি জানান৷ যদিও তা নাকচ করে দেন বিচারক৷