তবে শেষমেশ অনুব্রত মন্ডলের হস্তান্তরে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা হয় রাইটারের। পরীক্ষায় বসে ১১ জন দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার মধ্যে একটি। তাই জোরদার প্রস্তুতি নিয়েছে সকল পরীক্ষার্থ। কোরোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছর বাতিল হয়েছিল মাধ্যমিক।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিজেপির প্রতীক যুক্ত মাস্ক বিলিতে বাধা অভিভাবকদের
advertisement
একবছর পর ৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। সকল পরীক্ষার্থীর মতোই পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষা দিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিল দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু তারা পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখে, নেই কোনও রাইটার। সমস্যায় পরে তারা।
সমস্যার কথা বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানতেই অনুব্রত মন্ডলের সহায়তায় যোগাযোগ করেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে। এস আর ডির চেয়ারম্যান অনুব্রত মন্ডলের তত্ত্বাবধানে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা হয় ১১ জন দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীর রাইটার। তার পর রাইটার নিয়ে পরীক্ষায় বসে তারা।
বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান , "আমাদের জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৪৪৯২৩ জন। তার মধ্যে মহিলা পরীক্ষার্থী ২৫২৫১ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ১৯৬৭২ জন। তবে এখানে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। দৃষ্টিহীন কিছু পরীক্ষার্থী১২টার সময় জানতে পারে তাদের রাইটার নেই। তখন সঙ্গে সঙ্গে এস আর ডির চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডলের মাধ্যমে আমরা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলি। মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ও অনুব্রত মন্ডলের তত্ত্বাবধানে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা ১১ জন দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীর রাইটারের ব্যবস্থা করেদি এবং তারা তারপর পরীক্ষায় বসে।"
আরও পড়ুন- ও মা! জালে ওটা কী উঠল, মাছের জন্য ফেলা জাল তুলতেই মিলল ঢাউস ‘এই’ প্রাণী
দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী মনসুরা খাতুন বলেন , " পরীক্ষা দিতে গিয়ে জানতে পারি আমার রাইটার নেই , দিতে পারব না পরীক্ষা। তবে ব্যবস্থা হওয়ার পর আমি বসি পরীক্ষায় এবং পরীক্ষা খুব ভাল হয় আমার।"