প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি ছেটানোর এই ঘটনায় বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ আগামিকাল তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে৷
এ দিনই সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কালি ছিঁটিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে৷ এই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘এতদিন রাজনীতি করছি, এমন ঘটনা কখনও দেখিনি৷’
advertisement
তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি আরও বলেন, ‘জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ও আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, কিন্তু কখনও কারও মুখে কালি লাগাইনি, এই ধরনের আচরণ করিনি।’
আরও পড়ুন: ছাব্বিশে পাখির চোখ নন্দীগ্রাম, দেড় মাসেই আবার দায়িত্ব বদল! শুভেন্দুর খাসতালুকে কোন চাল দিল তৃণমূল?
এর পরেই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছেন অনুব্রত৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘বীরভূমে এমন ঘটনা ঘটল, আর গোয়েন্দা বিভাগ (ডিআইবি) কিছুই টের পেল না? এটা কি গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতা নয়?’
বীরভূমে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মাঝে বেশ কিছুদিন কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ মাঝে পুলিশ আধিকারিককে ফোনে হুমকি এবং কুকথা কাণ্ডের জেরেও দলের রোষের মুখে পড়েন তিনি৷ কিন্তু সম্প্রতি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরের পরই অনুব্রতকে জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়৷ তার পর থেকেই জেলার রাজনীতিতে ফের আগের মতোই সক্রিয় হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল৷