মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যন্ত বহুতালি গ্রামে অবস্থিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা ছাড়াও বীরভূম জেলার একাধিক গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসেন। হাসপাতালের ওপিডি-তে প্রায় সমস্ত রকমের ছোটখাট চিকিৎসা মেলে।
আরও পড়ুন: যৌ*নপল্লীতে গা-ঢাকা দিয়েছিল, ধরে ফেলল পুলিশ! নাবালিকাদের নিয়ে এ কী জঘন্য কাজ মহিলার
জানা গিয়েছে, দু’টি পূর্ণবয়স্ক এবং একটি অল্পবয়স্ক হনুমান বসে রয়েছে। ওই দলের মা হনুমানের কোলে একটি অসুস্থ বাচ্চা ছিল। কাতর দৃষ্টিতে মা হনুমান যেন সকলের কাছে প্রার্থনা করছিল তার কোলে থাকা অসুস্থ বাচ্চার জন্য যেন একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ইচ্ছে থাকলে মানুষ সব পারে! প্রমাণ দিলেন জাল টেনে মাছ ধরা কাঁথির যাদব, আজ তিনি IIT-র প্রফেসর
হাসপাতালে আসা অন্য রোগীরা জানিয়েছেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে আমাদের সকলকেই টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। আমরা দেখলাম হনুমানের দল হাসপাতালে প্রধান ফটক পার করে ভিতরের না ঢুকে দরজার সামনেই বসে ছিল। ওই দলে মা হনুমানের কোলে থাকা বাচ্চার শরীরে কিছুর আঘাত ছিল। সম্ভবত হনুমানের বাচ্চাটি গাছ বা অন্য কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে কিছুটা আহত হয়েছিল এবং তার শরীর দিয়ে অল্প রক্ত ঝরছিল। কাতর দৃষ্টিতে মা হনুমান হাসপাতালের সকলের কাছে যেন আবেদন করছিল তার সন্তানের জন্য যেন একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।’
হাসপাতালের দরজায় হনুমানদের চিকিৎসা পাওয়ার জন্য বসে থাকতে দেখে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়। অনেকেই এই দৃশ্য নিজেদের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে নিতে থাকেন।