এখন এখানে ছাগ বলির প্রচলন রয়েছে। এই পুজো নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। এই বিষয়ে রাজপরিবারের সদস্য শিবাজি সিংহদেও জানান , অতি প্রাচীন এই পুজো। তিনি তাঁর দাদুদের কাছ থেকে শুনে আসছেন এই পুজোর ব্যপারে। কথিত আছে সেই সময় নরবলি হত। পুজোর রীতিনীতি অনুযায়ী এই পুজোর দিন রাজপরিবারের কেউ যায় না পুজোর জায়গায়।
advertisement
আরও পড়ুন : পঞ্চ দোষেই সর্বনাশ! রাতে খাওয়ার সময় এই ৫ ভুলেই বাড়বে ব্লাড সুগার! ডায়াবেটিস থাকলে জানতেই হবে…
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকার মানুষেরা জানান, প্রায় তিনশো বছর আগে ঝালদার তৎকালীন রাজা শক্তি দেবীর আরাধনা করতেন। খুব জাগ্রত পুজো বলে তাই আশপাশের গ্রাম ছাড়াও জেলা তথা পাশের ঝাড়খণ্ড থেকেও আসেন ভক্তরা পুজো দিতে। এই পুজোর প্রসাদ বাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই এখানেই জঙ্গলের মধ্যে রান্না করে খেয়ে বাড়ি যেতে হয় ভক্তদের। এই ভাবেই কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এই পুজো।
ঐতিহ্যপূর্ণ এই জেলার সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে নানা বৈচিত্র। তারই মধ্যে অন্যতম ঝালদার এই নরহরি পুজো। যুগ যুগ ধরে রীতি মেনে এই পুজো আয়োজিত হয়ে আসছে। এই পুজোকে ঘিরে ঝালদার মানুষদের আবেগ উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মত।