আরও পড়ুন: বাঁধ মানছে না দুর্ঘটনা, পাঁচলায় উড়ালপুলের দাবি
তরজা গান বাংলার প্রাচীন লোকসঙ্গীতের অঙ্গ। কিন্তু চর্চার অভাবে কালের নিয়মে তা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আগে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় তরজা গানের প্রচলন লক্ষ করা যেত। এখন সেভাবে কোথাওই হয় না। শুধু গুটিকয়েক মানুষ নিজেদের মধ্যেই এই তরজা গানের চর্চা বজায় রেখেছে।
advertisement
তরজা গানে দুই কবি দলের মধ্যে গানের লড়াই চলে। এই গান কিন্তু আগে থেকে রচনা করা গান নয়। এ তৎক্ষণাৎ যুক্তি-তর্কের মত করে কবি দলের লোকেরা গান বেঁধে একে অপরের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে মেতে উঠতেন। কিন্তু গোটাটাই হত গানের মধ্য দিয়ে। রচনা বিখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি-তে ভোলা ময়রার এই তরজা গানের আসর দেখানো হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তরজা গানের জন্য পৌরাণিক বিষয়ে বিশেষ ব্যুৎপত্তি ও কাব্যিক প্রতিভা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু চর্চার অভাবে তা আজ প্রায় বিলুপ্ত। এরই মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন দক্ষিণ বারাসতের এই ব্যবসায়ী সমিতি। তাঁরা বাংলার প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলি বাঁচিয়ে রাখা ও সংরক্ষণের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সুমন সাহা