নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের ভেকুটিয়া, নন্দীগ্রাম ও হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে
নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ১, বয়াল ২ ও খোদামবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন দেখেছে নন্দীগ্রাম। সেই হাইভোল্টেজ লড়াইতে একদিকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ঠিক ২ বছর বাদে ফের নির্বাচন রাজ্যজুড়ে। যদিও সেই নির্বাচন পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেও গোটা রাজ্যের নজরে সেই ‘নন্দীগ্রাম’। শাসক দলের নজরে একদিকে যেমন ভোট বাড়ানো, অন্যদিকে বিরোধী দলের তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী নজরে ২০২১-এ বিধানসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে আরও ভোটের হার বাড়ানো। আর তা নিয়েই যুযুধান দু’পক্ষের লড়াই হতে চলেছে আজ।
advertisement
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিসংখ্যান বলছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় মোট ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, দুটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং পাঁচটি জেলা পরিষদ রয়েছে। ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি অবশ্যই ৬৬ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারিনি।পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতিতে সাতটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে। মূলত এই নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েতে লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। যদিও নির্দলও এক অন্যতম ফ্যাক্টর হতে চলেছে নন্দীগ্রামে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার সেই ভোট ব্যাঙ্ক একদিকে যেমন ধরে রাখা বিজেপির অন্যতম টার্গেট, তেমনি নিজেদের ভোট বাড়ানো অন্যতম চ্যালেঞ্জ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে।
যদিও ভোট পর্বের আগে থেকেই শুরু হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা। বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বহিরাগতদের নন্দীগ্রামে ঢোকানো হচ্ছে বলে সরব হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রচারের শেষ দিন নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ থেকে তিনি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি নন্দীগ্রামে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে।