ভেঙে পড়া ওই বাড়ির বাসিন্দা ও প্রতিবেশীরা জানান, গত বুধবার আমফানের ঝড়ে বাড়ির ভিত নড়ে যায়। তারপর থেকে অন্যত্র থাকার জন্য বাসা খুঁজছিলেন বাড়ির মালিক সাকিলা সেখ। শেষ পর্যন্ত বিকল্প বাসস্থানের খোঁজও মেলে। এরপর আজ সকালে হঠাৎই ওই বাড়িটি ভেঙে পড়ায় শোকে ভেঙে পড়েছেন তিনি। বিধবা সাকিলা সেখ বাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার জন্য দুই ছেলেকেই বাইরের রাজ্যে কাজে পাঠিয়েছেন। লকডাউনে তারাও বাইরের রাজ্যে আটকে। এখন কি করে একা হাতে সব সামলাবেন তা ভেবে উঠতে পারছেন না তিনি। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাবেন তিনি।
advertisement
আমফানে কৃষির ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে এদিন বর্ধমানে আসেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান হুগলি ও বীরভূম জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বর্ধমান সার্কিট হাউসে চার জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। কোন ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সব মিলিয়ে পাঁচশো সত্তর কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তিল, পাট, সবজি চাষের। কৃষি মন্ত্রী জানান, কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। কৃষকরা যাতে এই পরিস্থিতি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার
