উল্লেখ, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। এনহেন অভিযোগ তুলে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তিনটি চিঠি দিয়েছে নোবেলজয়ীকে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
এর পরেই এক এক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সিপিআইএম দলের অনেকেই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেনন। কারণ, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিভিন্ন সময় অমর্ত্য সেন সম্পর্কে তীর্যক ভাষায় মন্তব্য করেছেন। যদিও, এই সবের মাঝে অমর্ত্য সেন বার বার দাবি করেছেন জমি তাঁরই। এমনকি, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে এই মর্মে আইনজীবী মারফৎ নোটিশ পাঠিয়েছেন অধ্যাপক সেন।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতুড়ের কীর্তি! রক্ত বেরোনো বন্ধ করতে কানে মারাত্মক এমসিল আঠা ঢেলে দিল হাতুড়ে
আরও পড়ুন: বালিশ দিয়ে মুখ চেপে গোপনাঙ্গে আঘাত, প্রেমিকের জন্য স্বামীকে মারল ৪৭ বছরের মহিলা
বিশ্বভারতী দাবি, অমর্ত্য সেনের প্রাপ্য ১.২৫ ডেসিমেল জমি। অমর্ত্য সেনের আইনজীবীর দাবি অধ্যাপক সেনের পিতা আশুতোষ সেনের নামে ১.৩৮ ডেসিমেল জমি রয়েছে। তাই সম্পূর্ণ জমি মিউটেশনের জন্য বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে আবেদন করেছিলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী। সেই মতো এদিন, বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় দাসের তত্ত্বাবধানে অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী ও বিশ্বভারতীর আইনজীবী, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত জমি সংক্রান্ত শুনানিতে আসেন।
বিএলএল অ্যাণ্ড আরও দফতরে বসা আদালতে দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে জোর সওয়াল-জবাব চলে। জানা গিয়েছে, এ দিন ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের সামনে প্রয়াত আশুতোষ সেনের একটি উইল জমা দেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। পালটা জমি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দেন বিশ্বভারতীর আইনজীবী।
Indrajit Ruj