প্রথম পর্যায়ে ১৭.৬১ কোটি টাকা বিনিয়োগে উন্নয়নের সফল বাস্তবায়নের ফলে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ২৪% অর্থায়নের ফলে ৪৫% নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ফলে স্টেশনের পরিকাঠামোয় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ, প্ল্যাটফর্ম পুনঃনির্মাণ এবং যাত্রী চলাচলের এলাকা উন্নয়ন। এই পদক্ষেপের ফলে বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশন একটি আধুনিক পরিবহণ কেন্দ্র হিসেবে আরও সফলভাবে গড়ে উঠেছে।
advertisement
অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণ প্রথম পর্যায় সম্পূর্ণ হওয়ার ফলে, পশ্চিমবঙ্গে রেল পরিকাঠামো উৎকর্ষের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। এই পর্যায়ে সম্পূর্ণ নতুন স্টেশন ভবন, প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যাপক পুনর্নির্মাণ, যাত্রী চলাচল এলাকার উন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ সুবিধাগুলি, যেমন ওয়েটিং হল, টিকিট কাউন্টার এবং শৌচাগারের উন্নয়ন করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের এবং সম্মুখভাগের আলোকসজ্জা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, উচ্চমানের টেকসই আসবাবপত্র সরবরাহ, আকর্ষণীয় রাস্তার আলোর খুঁটি স্থাপন এবং মান নির্দেশিত সাইনেজ বাস্তবায়নের জন্য যাত্রীদের আরাম ও সুবিধা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি হয়েছে। এই উন্নয়নের পাশাপাশি, ১২ মিটার চওড়া একটি নতুন ফুট ওভার ব্রিজ যাত্রী চলাচলকে আরও সহজ করে তুলেছে এবং সঙ্গে স্টেশনের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন– অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ বদলে যাবে শান্তিপুর স্টেশন
রূপান্তরের এই পর্যায়টি ‘অমৃত ভারত প্রকল্প’ এর মূলনীতির প্রতিমূর্তি, যা আধুনিক সুবিধা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশের সঙ্গে সুসংহত মেলবন্ধনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের সমাপ্তি ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়নে এবং নাগরিকদের জন্য বিশ্বমানের সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকারকে তুলে ধরেছে। এটি নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ও জাতীয় সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, ‘‘বর্ধমান রেল স্টেশনের পুনর্নির্মাণের প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে যা যাত্রীদের জন্য পরিকাঠামো ও পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ ও আমাদের অঙ্গীকারের জ্বলন্ত সাক্ষ্য হয়ে থাকবে। পরবর্তী ধাপগুলিতে স্টেশনের সুযোগ-সুবিধা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’