সেই আবহ আরও বাড়াতে এ বছর মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে পুজো মণ্ডপ। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। বাঁশ, কাঠ, কাপড়, ফাইবার থেকে শুরু করে নানা রকম হাতের কারুকার্যে গড়ে তোলা হচ্ছে এই মণ্ডপ। লক্ষ্য একটাই, দিঘার দর্শনার্থীরা যেন মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের পরিবেশ অনুভব করতে পারেন। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছরের পুজোর বাজেট ৩০ লক্ষ টাকা। সেই অনুযায়ী শুধু মণ্ডপই নয়, প্রতিমা, আলো এবং সামগ্রিক সাজসজ্জায় আনা হচ্ছে অভিনবত্ব।
advertisement
পুজোর আগে থেকেই মণ্ডপ ঘিরে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। প্রতিদিনই পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা মণ্ডপ নির্মাণের কাজ দেখতে হাজির হচ্ছেন। অনেকে আবার ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন। দিঘার দুর্গাপুজোতে প্রতিবছরই বড় মাপের থিম থাকে। তবে এ বছরের থিম বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ, মায়াপুরের ইসকন মন্দির শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি আধ্যাত্মিকতারও প্রতীক। তাই দিঘার দুর্গাপুজোয় এ বছরের আয়োজন পর্যটকদের কাছে আলাদা আকর্ষণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সবাই।
সমুদ্র দর্শনের সঙ্গে দিঘায় যদি থাকে জগন্নাথ মন্দির ভ্রমণের সুযোগ, তবে এবার সেই অভিজ্ঞতায় যোগ হবে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরও। পুজোর দিনে পর্যটকদের ঢল নামবে, আর দিঘার পুজোর আনন্দ আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে এই অনন্য থিম। বলা যায়, এ বছর দিঘার দুর্গাপুজো পর্যটকদের কাছে হয়ে উঠবে দ্বিগুণ উপভোগ্য, একসঙ্গে জগন্নাথ মন্দির ও ইসকন মন্দিরের দর্শন।