সরকারি দফতর থেকে বেসরকারি ব্যাংকে অর্থ দিলেই মিলবে চাকরি। সেই প্রতারণার জাল দীর্ঘদিন ধরেই বিস্তার করে দিনের পর দিন সাধারন মানুষকে প্রতারিত করছিলেন সুপ্রিয় সাহা নামে এক অভিযুক্ত। যদিও তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ এই চাকরির প্রতারণার ক্ষেত্রে সে ছদ্মনাম ব্যবহার করত। একাধিকবার একাধিক মানুষের সঙ্গে আকাশ নামে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছিল অভিযুক্ত সুপ্রিয় সাহা।
advertisement
অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে কখনও ন’লাখ টাকা, আবার কখনও ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়েছে সে। তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। বন্ধন ব্যাংক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, কল্যাণী এইমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ওই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি আইফোন, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং সাতটি ভুয়ো এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরও তথ্য জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সাইবার ক্রাইম শাখার পুলিশ।
আরও পড়়ুন- মায়াপুর থেকে পাড়ি ইংল্যান্ডে! বিরল সাফল্য! নদিয়ার মেয়ে এখন ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ আইনজীবী
উল্লেখ্য, দিনের পর দিন বাড়ছে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার ঘটনা। বিভিন্ন জেলায় একাধিক সংস্থা ও ব্যক্তি নিজেদের প্রভাবশালী পরিচয় দেখিয়ে যুবক-যুবতীদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে কথিত ইন্টারভিউ ও ভুয়ো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা হয়।
এর পর ধাপে ধাপে কয়েক হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু টাকা পাওয়ার পর আর কোনও চাকরি মেলে না, বরং প্রতারকরা হয়ে যায় উধাও। বহু মানুষ এভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। পুলিশে অভিযোগ জানালেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দোষীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
আইনজীবীদের মতে, সংগঠিত চক্র সক্রিয় থাকায় সাধারণ মানুষকে আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও চাকরির জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কাউকে টাকা না দেওয়াই একমাত্র নিরাপদ পথ।