পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার যোগদা সৎসঙ্গ পালপাড়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে বর্তমানে কংক্রিটের প্রাচীর রয়েছে। দু’দশক আগে তৎকালীন কলেজের অধ্যক্ষ ধনঞ্জয় দাস অধিকারীর সময়ে এগরা বাজকুল রাজ্য সড়ক বরাবর কাঁটা তারের বেড়ার মধ্য কলেজের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে মেহগনি, ঝাউ, আকাশমনি-সহ একাধিক গাছ লাগানো হয়েছিল। প্রকান্ড সেই গাছগুলি কলেজ পরিসরে ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বক্সা পাহাড়ে গেলে কী কী দেখবেন? খাবেন কিংবা কিনবেন কী? পর্যটকদের জন্য দারুণ আয়োজন প্রতিনিধি দলের
সূত্রের খবর কলেজ ছুটির দিনে শাসক দলের ছাত্র নেতাদের একাংশের মদতে মূল্যবান গাছগুলি বেআইনিভাবে কেটে বিক্রি করা হয়েছে। অধিকাংশ গাছের গুঁড়ি কলেজ পরিসর থেকে পাচার করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত কলেজ পরিসরে মধ্যেই অবশিষ্ট কিছু গাছের গুঁড়ি জড়ো করে রাখা হয়েছিল।
বেআইনিভাবে গাছ কাটার বিষয়ে কলেজের একাংশ শিক্ষকেরা অধ্যক্ষ প্রদীপ্ত কুমার মিশ্রের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যেখানে কলেজে বড় বড় অক্ষরে ব্যানারে লেখা রয়েছে, গাছ লাগানোর কথা আর সেখানে কলেজেরই ক্যাম্পাসে বড় বড় গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হল। বেআইনিভাবে কারা কেন গাছগুলিকে কেটেছেন! অধ্যক্ষ স্পষ্ট কোন জবাব দিতে পারেননি।
গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করার ঘটনার ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মী-সহ কলেজের প্রাক্তনীরা। কলেজে বেআইনিভাবে গাছ কেটে পাচারের ঘটনায় বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কেটে রাখা বেশকিছু গাছের গুঁড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে বনদফতর। এই ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রদীপ্ত কুমার মিশ্রকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।