আরও পড়ুন Bomb Explosion| Malda: বাঁধতে গিয়ে ফেটে গেল বোমা, গভীর রাতে জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল মানিকচক, মৃত ২
১৬ ই জুন বীরভূমের বাসিন্দা মৌ মন্ডল সিউড়ীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশুর জন্ম দেয় । শিশুর শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে প্রথমে সিউড়ী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল , পরে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ , পিজি হয়ে এন আর এস এ ভর্তি করা হয় । ২০ দিন ভর্তি থাকার পর কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায়৷ ওই শিশুর শিশুসাথি প্রকল্পের কার্ড করিয়ে দেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং শিশুকে পরবর্তী চিকিতসার জন্য দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়৷ সেখানে নিয়ে আসার সাথে সাথে ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয় চিকিতসার জন্য৷ ভেন্টিলেশনে রাখার জন্য প্রতিদিন দেড়লক্ষ টাকা করেও দাবি করা হয় বলে অভিযোগ।
advertisement
পাশাপাশি ওই শিশুর পরিবারের সাথেও খারাপ ব্যাবহার করার অভিযোগ উঠেছে । শিশুর ইঞ্জেকশানের জন্য চল্লিশ হাজার টাকা পরিবার দেয় । পরিবার শিশু সাথির প্রকল্পের কথা বললে তাদের গালি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন শিশুর বাড়ির লোক । পরে শিশুর চিকিতসায় অব্যাবস্থার অভিযোগ তুলেছে পরিবার , শিশুর গলায় পাইপ ভরতে গেলে মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে৷ এমনকী শিশুকে মৃতপ্রায় অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার ও অভিযোগ ওঠে ।
আরও পড়ুন North 24 Parganas News: মাটি খুঁড়তেই জ্বলে উঠল আগুনের শিখা! অশোকনগরে আবারও খনিজ তেল পেল ONGC
তারা ওই শিশুকে সিউড়ী হাসপাতালে নিয়ে আসে শোচনীয় অবস্থায়৷ সিউড়ী হাসপাতালেই ওই শিশু মারা যায় ৭ তারিখ । দুর্গাপুরের ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অভিযোগ করেছে ওই শিশুর পরিবার৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন তারা৷ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য দফতর । জানা গিয়েছে তদন্তের রিপোর্ট তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে নবান্নে ।
শিশুর মা মৌ মন্ডল বলেন , " আমার বাচ্চাকে ভর্তি করলে ওনারা শিশু সাথী কার্ড গ্রাহ্য করেননি । বলেছিলেন বাচ্চাকে বাঁচাতে গেলে কার্ড নয় টাকা লাগবে । টাকা দেওয়ার পরও আমার বাচ্চার মুখে নল ভরতে গিয়ে গোটা মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে । আর এই চিকিৎসার গাফিলতিতেই আমার বাচ্চা মারা যায় । আমি শাস্তি চাই । "
আরও পড়ুন Birbhum News : গাছের ডালে ডালে নেচে বেড়াচ্ছে নীলকন্ঠ ময়ূর, দেখতে ভিড় শান্তিনিকেতনে
যদিও যে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ঘটনা অস্বীকার করেছে৷ এমনকী শিশুটি সেখানে ভর্তি হয়নি, এই কথা জানিয়েছে৷ হাসপাতালের ডাক্তার দেবাশীষ ঘোষ বলেন , " বাচ্চাটি এখানে ভর্তি হয়নি । ইমার্জেন্সিতে বাচ্চাটি এসেছিল । তারপর ওখানেই ওর ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয় । তারপরই রাত্রি ৯ টা নাগাদ বাচ্চাটিকে তার পরিবারের লোক এখান থেকে নিয়ে চলে যান । এবার যখন এই বাচ্চাটি এখানে ভর্তিই হয়নি তবে টাকা পয়সার কোন প্রশ্নই নেই । আর এমনিতেও এখানে শিশু সাথী, স্বাস্থ্য সাথী সব রকমেরই সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়া হয় । "