#মেদিনীপুর: প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ির পুজোর মধ্যে এক এবং অন্যতম হল মেদিনীপুর শহরের আবাসের আবাস গড় রাজবাড়ির পূজো। সাড়ে তিনশ বছরের অধিক প্রাচীন এই পুজো সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে আজও। যদিও সময়ের সঙ্গে পূজোকে ঘিরে অনেক রীতিনীতি লুপ্ত হয়েছে। কিন্তু আজও মেদিনীপুরের আবাস গড়ের রাজবাড়ির পুজো হয়ে আসছে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে। অতি প্রাচীন এই পুজো রাজা নরেন্দ্র লাল খানের পিতা দেবেন্দ্র লাল খানের পূর্ব পুরুষেরা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে রাজা নরেন্দ্র লাল খানের স্ত্রী রানী মা অঞ্জলী খান এবং তার কন্যা রাজর্শ্রী ঘোষ ও জামাই দিলীপ ঘোষ করতেন।বর্তমানে রানিমার নাতি রাজদীপ ঘোষ ও তাঁর দুই পুত্র এই পুজোর দেখভাল করেন।
advertisement
এখন আর সেই রাজবাড়ির ঘরানার জৌলুস নেই। তবে এখনও সেই রাজাদের পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। যদিও এখন আর পশু বলি হয় না, তবে পশু বলির বদলে রয়েছে কুমড়ো সবজি বলি প্রথা। একসময় জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে এক সঙ্গে সন্ধি পুজো হত এই আবাস গড়ের রাজার দীঘিতে কামান দেগে। বর্তমানে তা নিষিদ্ধ। কিন্তু পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত এই পুজো নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই হয়। যে পূজা দেখতে হাজির হন হাজারে হাজারে মানুষ। যদিও এবারে কোরোনা সংক্রমণের জন্য পুজোর নিয়ম নীতি গিয়েছে বদলে। এবারের পুজো হচ্ছে একদম অনাড়ম্বরভাবে, যেখানে থাকছে না জমায়েতের কোন ব্যবস্থা। থাকছে না আতশবাজির প্রদর্শনী সিঁদুর খেলা এবং অন্নকূটের আয়োজন। বর্তমানে পূজো পরিচালনায় দায়িত্বে রয়েছেন বংশ পরম্পরায় রাজ পুরোহিতের পুত্র গুণধর কুলোভি জানান, এই পুজোর খরচ বর্তমানে রাজার দীঘি থেকে আয় হওয়া অর্থ থেকে হয়। এখনও পুজোর সময় রাজার পরিবারের সদস্যরা আসেন মেদিনীপুরের এই প্রাচীন পূজায়।